শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ, খলনা ব্যুরো…………………………………
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারি সৃষ্টিগতের আলোকোজ্জল অনুসরণীয় আদর্শ মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ ৫৭০- সালে আবির্ভাবে ১২ ই রবিউল আঃ সোমবার সোবহে সাদেক এর সময় ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের কল্যাণে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পেয়েছে এই দিনে।
বিশ্বনবীর আবির্ভাবে মানুষ নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভ করে এবং জগতের সমস্ত জঞ্জাল, কুসংস্কার, অবিচার, নৈরাজ্য, অবক্ষয় ধীরে ধীরে অপসৃত হতে শুরু করে, মহানবী (সঃ) আবির্ভাবে আলোকোজ্জল অনুসরণীয় আদর্শের নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রনা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুরীভূত করে সত্য ও ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর এজন্য তাঁকে সইতে হয়েছিল অমানুষিক নির্যাতন ও নিপীড়ণ। তিনি সমাজে সংহতি ও ঐক্য নিশ্চিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমত সহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত।#