বিশেষ প্রতিনিধি রাজশাহী বাঘার চরাঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির তিন দিন পর চার বাসা বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৮জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার চরাঞ্চলের চকরাজপুর ইউনিয়নের চর কালিদাশখালী গ্রামে ৪ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মঙ্গলবার(১৫-০৭-২০২৫) দিবাগত রাতে ইউনিয়নটির পলাশী ফতেপুর নতুন বাজারে পাঁচ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে চর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার দিবাগত রাতে ডাকাতরা নদী পথে নৌকায় এসে একের পর এক চার বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাতি করে আবার নদী পথে নৌকায় চলে যায়। রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২০/২৫ জনের মুখোশধারি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে মালিককে জিম্মী করে নগদ ২লাখ ১৩ হাজার টাকা,স্বর্ণালংকার ৬ভরি ১০ আনা,রুপার অলংকার ৫ভরি ও ৮টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।
লতিফ মোল্লা জানান, তার বাড়িতে প্রবেশ করে নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৮ আনি স্বর্ণের ১ আংটি, ৮ আনি স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, ১০ আনি স্বর্ণের চেইন, ২টি মোবাইল নিয়ে গেছে। ইউনুস ব্যাপারী জানান,তার বাড়ি থেকে নগদ ২৮ হাজার টাকা, ৮ আনির স্বর্ণের ১টি চেইন, ১ জোড়া রুপার নুপুর, ১টি মোবাইল নিয়ে গেছে। ইদ্রিস ব্যাপারী জানান,তার বাড়ি থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা,৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন,দুই ভরি ওজনের রুপার বালা, ২ভরি ওজনের এক জোড়া নুপুর, ৩টি মোবাইল ফোন এবং আব্দুর রাজ্জাক (ভুট্টা ও বাদাম ব্যবসায়ী) এর বাড়ি থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ২ ভরির ওজনের স্বর্ণের দুটি চেইন,৪ আনি ওজনের স্বর্ণের দুটি আংটি,১ ভরি ওজনের স্বর্ণের দুল ও ২টি মোবাইল নিয়ে গেছে।
এছাড়াও আসবাবপত্র ও অন্যান্য মামামাল তছনছ করে রেখে গেছে ডাকাতদল। চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য, স্থানীয় সহিদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনার আগে গত ১ মাসে প্রায় দশটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তার ভাষ্য,ঘটনার সাথে জড়িতরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় এলাকার লোকজন জান মালের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় বোধ করেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র এসপি (বাঘা-চারঘাট সার্কেল) খালিদ হাসান ও বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান । বিকেল ৪টা কথা হলে ওসি জানান, তারা এখানো ঘটনাস্থলে আছেন। এ বিষয়ে মাশলা হবে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পলাশিফতেপুর নতুন বাজারে-সেলিম সরকারের নগদ ১০ হাজার টাকাসহ দেড় লাখ টাকা, আব্দুস সামাদের ৯০ হাজার টাকা দামের দুইটা মনিটর ও আবু বক্করের ৬০ হাজার টাকা মিলে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে যায়। অপর দুই দোকানে তালা ভাঙলেও কোন মালামাল চুরি হয়নি।#