বিশেষ প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ৫জুন। পরে সহিংসতা ও হামলার ঘটনায় পৃথক ৪টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা মাঝপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম শিমুল, সেন্টু আলী, বাবলু হোসেন নামে ৪জন ব্যক্তি পৃথক ৪টি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বাউসা মাঝপাড়া গ্রামের রমজান আলী (৫২) ও বাউসা হেদাতিপাড়া গ্রামের নূরল ইসলাম (৪৫)।
জানা গেছে, গত শনিবার (৭ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে বাঘা-আড়ানী সড়কের পাঁচপাড়া সাঁকোর পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উভয় প্রার্থীর সমর্থিত লোকজন দায় অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে,তা তারা জানেননা। বিষ্ফোরক দ্রব্য ককটেল না পটকা সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, ভোটের দিন (৫ জুন) রাতে মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু’র সমর্থিত লোকজন বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তিনি একটি অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে রমজান আলী ও নূরল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । একই রাতে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থিত লোকজনের বিরুদ্ধে, ধন্দহ গ্রামের বাবলু হোসেনের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। সে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থিত লোক বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবলু বাদি হয়ে অভিযোগ করেছেন। কুপিয়ে জখমের অভিযোগে ধন্দহ গ্রামের ভ্যানচালক সেন্টু আলী বাদি হয়ে অভিযোগ করেছেন।
এছাড়াও একই ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হায়দার আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম শিমুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার বাড়িতে হামলার অভিযোগ করেন রাকিবুল ইসলাম শিমুল।
তিনি জানান,নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ বাড়ির আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ জানালা, দরজা, আলমারি ভাংচুর করে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি করেছে। আনারস প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রোকনুজ্জামান রিন্টু বলেন, নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন পর্যন্ত মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলুর সমর্থকরা বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার দাবি, চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তার কর্মীদের ওপর একর পর এক হামলা করে যাচ্ছে।
বিজয়ী চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, আমার প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী রোকনুজ্জামান রিন্টু পরাজিত হয়ে নিজেরাই নানা কৌশলে বিভিন্নভাবে অপকর্ম করে আমার সমর্থিত লোকজনের উপর একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছেন। এ সব অভিযোগে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি তার।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি। #