মোঃ আব্দুল বাতেন, শিবগঞ্জ থেকে: উজানের ঢল আর অতিবৃষ্টিতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে এই নদীর পানিতে শিবগঞ্জে তিনটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিতে ডুবে গেছে রোপা আউশ,কলা ও হলুদ ভুট্টাসহ শাক-সবজি আবাদ করা ৪৫০ হেক্টর জমি। ২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। মঙ্গলবার (১২আগস্ট) সকালে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ২ হাজার পরিবার, উজিরপুর ইউনিয়নের ১০০০হাজারও দুর্লভপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নে নামোজগন্নাথপুরের বাসিন্দা খাদেমুল, স্টার বাবু, পলাশ ইসলাম বলেন, “পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো ডুবে গেছে। সেখানে বসবাস করা মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে আবারো পদ্মায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী মানুষ ভাঙন আতঙ্কেও দিন পার করছেন।”
পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, “আমাদের এলাকার নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিগুলোয় ডুবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখানকার অনেক বাড়ির চারদিকেই পানি আর পানি।”
শিবগঞ্জের দুলর্ভপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহা. আজম আলী বলেন, “এই ইউনিয়নের দোভাগী, ফিল্টেরহাট, নামোজগন্নাথপুর, বাদশাপাড়া এলাকার নিম্নাঞ্চলের জমিগুলো ডুবে গেছে। ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি।”
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলম বলেন, “নদীর পানিতে আউশ, কলা, হলুদ ও শাক-সবজি ৪৫০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।#