বিশেষ প্রতিবেদন: সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই সপ্তাহ পর পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি আজ মঙ্গলবার কলকাতার নিউটাউনের সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মানব দেহের অংশ উদ্ধার করেছে।
বাংলাদেশ গোয়েন্দাদের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি নিউটাউনের সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন এবং সেপটিক ট্যাংক ভেঙে উদ্ধার অভিযান চালায়।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ধারণা, ওই ফ্ল্যাটেই এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছিল।
অভিযানে সেপটিক ট্যাংক থেকে মানব দেহের অংশ পাওয়া যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহ করছে যে ওই দেহাবশেষ সংসদ সদস্য আনারের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডিএনএ ও ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করতে হবে যে মানব দেহের ওই অংশ এমপি আনারের কি না।’
গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন এমপি আনার। চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে বলে পরদিন সেখান থেকে চলে চান তিনি।
পরে গোপাল আনারের মোবাইল ফোন থেকে বেশ কয়েকটি টেক্সট মেসেজ পান, যেখানে তাকে ফোন করার দরকার নেই বলা হয়। বুধবার ভারত ও বাংলাদেশ পুলিশ জানায়, কলকাতার নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন এমপি আনার।
গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আক্তারুজ্জামান এবং এমপি আনার একসঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র চালাতেন। গত বছরের শেষের দিকে টাকাপয়সা নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব হয়। সেসময় আজিম ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ নিজের কাছে রেখে দেন।#