# নাজিম হাসান…………………………………………………………………..
সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক,সিএনজি ও অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির সময় চাঁদাবাজ চক্রের তিন সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ হাজার ১৬০ টাকা ও একটি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার করা হয়ছে। রোববার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে মেসার্স রমজান এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা হলেন, পুঠিয়া উপজেলার কুটিপাড়ার মৃত ওয়াইজ উদ্দিনের ছেলে শফিউল্লাহ (৫০), নামাজগ্রাম গ্রামের মৃত মহসিন আলী বাচ্চুর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৬) ও চারঘাট উপজেলার তাতারপুর এলাকার আব্দুর রাহেদের ছেলে বাবু মন্ডল (৩৯)। গতকাল সোমবার র্যাব-৫ অধিনায় মুনিম ফেরদৌসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার দুপুর ১টার দিকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে জানায় কয়েক জন চাঁদাবাজ চাঁদার দাবিতে তার পণ্যবাহী মিনি-ট্রাকসহ ড্রাইভারকে বানেশ্বর বাজারে মেসার্স রমজান এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে আটকে রেখেছে এবং ড্রাইভারকে মারধর করছে। পরে র্যাবের টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায় এবং চাঁদাবাজের মূলহোতাসহ তিন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এসময় ও ভুক্তভোগী ড্রাইভারসহ পণ্যবাহী মিনি ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পণ্যবাহী গাড়ি/ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় এবং চাঁদা না দিলে ড্রাইভারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ গাড়ি ভাংচুর, ক্ষয়-ক্ষতি ও মারধর করে চাঁদা আদায় করাসহ যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে।
আসামিদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে পুঠিয়া-তাহেরপুর রোডে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির সময় র্যাব রাজিব নামের একজনকে আটক করলেও চাঁদাবাজি কমেনি তাহেরপুর পৌরসভার মোড়ে মোড়ে। বর্তমানে দুর্গাপুর রোড,মোহনগঞ্জ রোড,রামরামা রোড,নলডাঙ্গা রোডসহ বিভিন্ন রোডে তাহেরপুর পুলিশের সামনে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করলেও রহস্যজনক ভাবে তারা নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।#