নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে চাঁদা না দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পুকুরপাড়ের শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী আব্দুল বারি বলেন, হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসাহাক মেম্বারের নেতৃত্বে ১৫–২০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র হাতে পুকুরপাড়ে থাকা সজনে, নিম ও কলা গাছ কেটে ফেলেন। বাধা দিতে গেলে তাকে ও তার পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও গাছ কাটা বন্ধ করতে পারেনি। পরে কর্ণহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আব্দুল বারি।
তার দাবি, বেজুড়া গ্রামের ১২ বিঘার একটি পুকুরের ভেতরে তার দেড় কাঠা জমি রয়েছে। বৃহস্পতিবার পুকুরের লিজের টাকা নেওয়ার জন্য মেম্বার ইসাহাক তাকে ডেকে গাছ কেটে ফেলার শর্ত দেন। না কাটলে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান মেম্বার। আমি অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে এসে গাছগুলো নিরবিচারে কেটে ফেলে।
জানতে চাইলে অভিযুক্তরা বলেন, থানা পুলিশ আমাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও গাছ কাটা থামায়নি। এ সময় অস্ত্র হাতে থাকা যুবকদের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল বারী বলেন, আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও অপরাধীদের বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য ইসাহাক আলী বলেন, “ওই পুকুরে প্রায় ১০০ জন ভাগীদার রয়েছেন। ভাগীদারদের পক্ষে সজনে ও অন্যান্য গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা বা চাঁদা দাবি করা হয়নি।
এ বিষয়ে আরএমপি’র কর্ণহার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, “পুকুরটি আগে অন্য একজন লিজে নিয়েছিলেন। তখন কেয়ারটেকার ছিলেন আব্দুল বারি এবং গাছগুলো তিনি লাগিয়েছিলেন। এখন নতুন লিজধারী পুকুরপাড় পরিষ্কার করেছে। অস্ত্রের মহড়া বা কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#