প্রেস বিজ্ঞপ্তি …………………………………………………………….
রবিবার (৫ জুন) বাংলাদেশের মাইকেল জ্যাকসনখ্যাত পপস¤্রাট বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের এ দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিঁনি। দেশের এ পপগুরুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী প্রেসক্লাব এবং উত্তরবঙ্গের বৃহৎ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকেল ৪টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ ও সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সংগঠন দুটির সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ: সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেণী।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। সমাবেশে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সিনিয়র সহ: সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, সহ: সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টুসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখবেন। এরপর অনুষ্ঠিতব্য সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন। এর আর আগে সমাবেশ সফল করতে নগরীতে পোস্টারিং ও মাইকিং করা হয়।
উল্লেখ্য, পপ সম্রাট আজম খান ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। আজম খান ১৯৫৫ সালে প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সাল থেকে তিনি কমলাপুরে থাকতেন এবং আমৃত্যু সেখানেই ছিলেন।
আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। ১৯৭১ এ বিশেষত যুবক বয়সীদের ঢাকায় অবস্থান করাটা ছিল বিভীষিকার মত পাক হানাদার বাহিনীর ও এদেশীয় দোসরদের ভয়ে। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন, ঢাকায় থাকলে এমনিতেই যখন মরতে হবে তার চেয়ে যুদ্ধ করে মরাই ভালো। প্রথমে কুমিল্লা হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে আগরতলায় যান। তারপর মেঘালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশারফের (বীর উত্তম) অধীনে এবং মেজর এ.টি.এম. হায়দারের (বীর উত্তম) কাছে ২ মাস গেরিলা ট্রেনিং নেন। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির পর তাদের দলকে পরীক্ষামূলকভাবে কুমিল্লার শালদায় পাঠানো হয় হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে।
যুদ্ধে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাকে তদানিন্তন বø্যাকপ্লাটুনকে (যারা এর আগে থেকেই ঢাকায় গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল) সহায়তা করার জন্য মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলা দলের সেকশন কমান্ডার হিসেবে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার নেতৃত্বে ঢাকার সেনানিবাস, গুলশান, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ি সহ আরও অনেক এলাকায় বীরত্বপূর্ণ গেরিলা অপারেশন পরিচালিত হয়। সবশেষ ২০১১ সালের ৫ জুন পাড়ি জমান পরপারে।#
এডটি: আরজা/১০