
# মাসুদ রানা,পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের উত্তরের জনপদ বরেন্দ্র অধ্যুষিত, শস্য ভান্ডার খ্যাত, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় মাঠে মাঠে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন রোপা আমণ ধান। আর এই স্বপ্নকে সফল করতে আমণ ধানের ক্ষতিকর পোকা ও রোগবালাই দমনে মাঠে মাঠে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। কৃষকের জীবন মান উন্নয়ন ও কৃষকের দোরগোড়ায় কৃষি সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে চলতি আমণ মওসুমে প্রায় ২৩ হাজার ৪শ ২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান৮৬, ব্রিধান৮৭, ব্রিধান৯৫, ব্রিধান১০৩, বিনা১৭ ও স্বর্ণা-৫ সহ বিভিন্ন স্থানীয় জাতের আমণ ধান চাষাবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধানের সবুজ গাছের বুক চিরে শীষ বের হচ্ছে কোন কোন ধান গাছ সোনালী রুপ নিচ্ছে। মৃদু মন্দ বাতাসে দুল খাচ্ছে ধানের শীষ গুলো। কৃষকেরা জমিতে সেচ দিচ্ছেন,কেউ কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। কৃষকের সাথে সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষি অফিসের লোকজনও। কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কৃষক সমাবেশ, মাঠ পরিদর্শন ও লিফলেট বিতরণ, কৃষি পরামর্শ অব্যহত রয়েছে । কার্যকরভাবে রোপা আমন ধানের রোগবালাই দমনের জন্য মাজরা পোকার ডিমের গাদা সংগ্রহ করে নষ্ট করা, পোকার উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য নিয়মিত আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা এবং আক্রান্ত জমিতে অনুমোদিত সঠিক দানাদার বা তরল কীটনাশক সঠিক মাত্রায় সঠিক সময়ে ব্যবহার করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের কৃষক মো.মিরাজ উদ্দীন(৪৫) বলেন, তিনি এবার প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন এবং কৃষি অফিস থেকে রোগবালাই দমনে বিভিন্ন পরামর্শ পাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো.সোহরাব হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে আছে, আমণের ভাল ফলনের জন্য রোগবালাই দমন, সঠিক মাত্রায় বলাইনাশকের প্রয়োগ, কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক, কৃষক সমাবেশ,স্পট মিটিং অব্যহত রয়েছে। আশা করছি আমণের ফলন ভাল হবে।#