এ কে খান :
৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। পরিবারই হেক নারী উন্নয়নের কেন্দ্রস্থল। “নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এ বছর নারী দিবস উৎযাপিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে সামাজিক ভাবে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায়।
এক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই পাশাপাশি আমাদের দেশের নানা সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সংঘ, সমিতি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সুবিধা বঞ্চিত নারীদের জাগরণ ও তাদের উন্নয়নে নানামুখী সেবাদান করে চলেছেন। দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যে সকল সেবাদানকারী ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান নারীদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম উত্তর জনপদের কৃতি সন্তান, দেশের সমাজ পরিবর্তন ও নারী উন্নয়নের অগ্রদূত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, প্রখ্যাত নারী সংগঠক, দেশের শিক্ষা সম্প্রসারণের জীবন্ত কিংবদন্তি, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের নির্বাচিত পরিচালক, মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, বর্তমান যুগের আলোকবর্তিকা, দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ও আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হোসনে-আরা বেগম অন্যতম পুরধা ব্যক্তিত্ব।
তিনি তাঁর সমস্ত কর্মময় জীবনের ৫০ বছরের অধিক কাল যাবৎ দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত নারীদের নিয়ে নানা মুখী সেবা মূলক কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেকে নিয়োজিত করছেন। এসকল কাজের জন্য নারীদের ব্যাপক অগ্রগতির ফলে তাদের সামাজিক মান মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি গ্রাম বাংলার অবহেলিত নারী গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে কাজ করাসহ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অসংখ্য নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নারীদের জাগরিত, আর্থ-সামাজিক, মানবিক ও তাদের মানসিক ভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে উঠতে সাহযোগিতা করছেন। যেটি অনাগত ভবিষ্যতে সমাজ, দেশ ও জাতীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
দেশের সকল সামাজিক, মানবিক ও জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকা এই মহান ব্যক্তিত্ব দেশ ও জাতীর জন্য যেভাবে নিজেকে আত্ন নিয়োগ করেছেন, তা সত্যিকার অর্থে প্রশংসনীয়।
অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে-আরা বেগম এর জীবন কাল ব্যাপী মানব সেবার মাধ্যমে দেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সুবিধা বঞ্চিত নারীদের উন্নয়নের জন্য যে ভাবে কাজ করে চলেছেন, তাঁকে নিঃসন্দেহে আলোকিত মানুষ হিসাবে অবহিত করা যায়।
টিএমএসএসের মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা জানান, অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে-আরা বেগম যে ভাবে দেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে কাজের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে অবহেলিত নারী গোষ্ঠির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন, তাঁর এ অবদান আমাদের দেশ ও জাতীর জন্য চির স্বরণীয় হয়ে থাকবে।
অধ্যাপিকা ড. হোসনে-আরা বেগম, বাংলাদেশের বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক, যিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার নেতৃত্বে টিএমএসএস দেশের অন্যতম বৃহত্তম নারী সংগঠন, যার মাধ্যমে দেশের সুবিধা বঞ্চিত লাখো নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার পথকে প্রশস্ত করেছে। দেশের সমাজ বঞ্চিত নারীদের অগ্রযাত্রায় তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম। বিশ্ব নারী দিবসে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য আমরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
দেশের অবহেলিত নারীগোষ্ঠীর উন্নয়নে তিনি যেমন তার সারা জীবন কাল ব্যাপী নারীদের উন্নয়নে পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন করায় তাকে নিঃসন্দেহে দেশের আলোকিত মানুষ হিসাবে অবহিত করা যায়। এ অবস্থায় আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি।#