মোঃ নাসিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ৪ নং নেজামপুর ইউনিয়নের ধবল দীঘি পাড়া গ্রাম থেকে রাওতাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নিজ একক অর্থায়নে মেরামত করেছেন সমাজসেবক ও ভেষজ চিকিৎসক শ্রী আমিন কর্মকার। রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও বয়স্ক মানুষদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায়, আমিন কর্মকার গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে ও নিজ অর্থায়নে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধবল দীঘি পাড়া থেকে রাওতাড়া গ্রামে অবস্থিত ইলামিত্রের মট পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে আমিন কর্মকারের অর্থায়নে এবং গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও আমাদের এই রাস্তাটি এখনো পাকা হয়নি। কতবার এমপি, চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জানিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এখন নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করছি।”
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পুনরায় এই রাস্তা পাকাকরণের আবেদন জানিয়েছেন।
আমিন কর্মকার বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তাটি অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। বর্ষায় কাঁদার কারণে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। মাত্র ৭ কিলোমিটারের রাস্তার জন্য আমাদের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় ইলা মিত্র সংগ্রহশালা এবং নাচোলে। এজন্য আমি নিজ উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার খানাখন্দ সমান করে অন্তত চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে রাস্তাটির প্রস্তাবনা দিয়েছি, শিগগিরই এটি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করি। পাশাপাশি সরকারের পাশাপাশি যদি সমাজের প্রভাবশালী ও বিত্তবান ব্যক্তিরা এভাবে জনকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।” গ্রামবাসীর আশা, শিগগিরই এই রাস্তাটি সরকারিভাবে পাকা হবে, যাতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটে।#