মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : নওগাঁর এক গৃহবধূর উপর শারীরিক নির্যাতন, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক কর্মকর্তা এস আই (নিঃ) আবু সাইদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার কেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বিবাহের পর থেকে এসআই সাইদ তাকে নিয়মিত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন। অভিযোগে ধর্ষণ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়া এবং দুধের শিশু সন্তানকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে।
গত ২৬ জুন নওহাটা মোড়ে এক হোটেলে স্বামীকে সাংবাদিকের সঙ্গে দেখে তিনি ওখানে দেখা করতে যান। যাওয়ার পর ঐ এস আই কেয়াকে দেখা মাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে কেয়াকে আহত করেন এসআই সাইদ। এসময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। ভুক্তভোগীর দাবি, তিনি একাধিকবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও সহকর্মী নারী পুলিশ সদস্যদের যোগসাজশে চাপের মুখে সেগুলো প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। তার ভাষ্যমতে, ১. এসআই সাইদ তার সতীত্ব নষ্ট করেছেন। ২. সন্তান জন্মের পরও অমানবিক নির্যাতন চালান। ৩. আগের স্ত্রীকে না ছেড়ে প্রতারণার মাধ্যমে আবার বিয়ে করেছেন। ৪. ৪ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করেছেন। ৫. মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করিয়ে পরে মামলা হয়রানিতে জড়িয়েছেন। এসব গুরুতর অভিযোগের পরও অভিযুক্ত এস আই আবু সাইদ এখনও বহাল তবিয়তে চট্টগ্রাম রেঞ্জে কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার কেয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করব।” তবে অভিযুক্ত এস আই আবু সাইদের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়াই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।#