মোঃ ফিরোজ আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধঃ ডাঃ রোকসানা হ্যাপি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন তিনি। দুই-চার বছর নয়,৫ বছরেরও বেশি সময় একই কর্মস্থলে বহাল তিনি।যদিও নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠান প্রধান তিন বছরের বেশি সময় একই কর্মস্থলে থাকতে পারেন না।তাঁর বদলির আদেশ হওয়ার পরেও তিনি অদৃশ্য শক্তির কারণে আজও একই স্থানে রয়ে গেছেন।
শুধু তাই নয়,৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি হলেও তিনি এখনো একই কর্মস্থলে কর্মরত রয়েছেন। তার সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তিনি আছেন বহাল তবিয়তে।তিনি বিসিএস ক্যাডার না হয়েও পরিচয় দেন একজন বিসিএস হিসেবে।প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন ডালপালা মেলেছে।অনেকেই বলছেন,তিনি এখন যদি বদলি হন তবে তাঁর তো এ পদ থাকবে না এই জন্যই তিনি ডান হাত বাম হাত করে এখনো বহাল । তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মত অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।বিশেষ করে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাছ টেন্ডার ছাড়া কেটে বিক্রি করে আত্মসাৎ করে।দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনেরেটর নষ্ট অবস্থায় রয়েছে।নামমাত্র মেরামত করে তা কয়েক দিন পর আবার নষ্ট হয়ে যায়।সেই জেনেরেটর মেরামতের খরচও তিনি নয় ছয় করেন।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনের জন্য চাঁদা নেওয়া হয় চাকুরীর ধরণ অনুযায়ী ২০০ থেকে ৪০০ টাকা কিন্তু ইমাম কে দেওয়া হয় ৭ হাজার এবং মুয়াজ্জিনকে দেওয়া হয় দেড় হাজার টাকা। সদস্য যদি হয় ১৫০জন তাহলে টাকা যায় কই।সরকারি গাড়ী নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার সহ নানা অনিয়ম।যা দুদক তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
স্থানীয়রা বলছেন,একই জায়গায় দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় ডাঃ রোকসানা হ্যাপি বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী,ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন। অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। স্থানীয় অদৃশ্য শক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গড়ে তুলেছেন ‘একচেটিয়া রাজত্ব’। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার কাছে জিম্মি। তাকে কেউ বদলি করানোর ক্ষমতা রাখে না উল্লেখ করে রোকসানা হ্যাপি প্রায়ই দম্ভোক্তি করেন বলে জানিয়েছেন তার একাধিক সহকর্মী।আর এতে করে রোকসানা হ্যাপির অনিয়মগুলো দেখার পরও সহকর্মীরা চুপ থাকেন।
এগুলো বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ রোকসানা হ্যাপি সব কিছু অস্বীকার করে বিষয় গুলো এড়িয়ে যান। এ বিষয় গুলে একাধিক বার নওগাঁর সিভিল সার্জনকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। পুনরায় নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ আমিনুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।#