শৈশবে অর্থের মূল্য বুঝতেন না, আর তাই এক দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়ে এক শো-রুম থেকে নিজের ইচ্ছে মতো জিনিস তুলে নিয়েছিলেন জাহ্নবী। অভিনেত্রী জানান যে, মা শ্রীদেবী ও বাবা বনি কপূরের সঙ্গে এক দিন কেনাকাটা করতে বেরোন তিনি। তখনই তাঁর চোখে পড়ে যায় কিছু জিনিস। কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই দোকানের সেই জিনিসগুলি তিনি হাতিয়ে নেন।
জিনিসগুলি নিয়ে যে তাঁকে কোনও টাকা দিতে হয়নি, সেটা মা-বাবাকে জানান জাহ্নবী। আর তার পরেই অভিনেত্রীকে তাঁরা ‘চোর’ বলে সম্বোধন করেন। জাহ্নবী বলেন, ‘‘আমার বয়স তখন খুবই অল্প। টাকা কেন ব্যবহার করা হয়, সেটাই বুঝতাম না। আমি দোকান থেকে জিনিসগুলি তুলে নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যাই। বাইরে গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করি আর বলি, আমি টাকা না দিয়েও এগুলি তুলে এনেছি। শুনে ওঁরা বলেছিলেন, তুমি একটা চোর।’’
শুধু তা-ই নয়। হোটেলে গিয়েও নাকি নানা জিনিস সেখান থেকে নিয়ে আসতেন জাহ্নবী। বিশেষ করে বিভিন্ন হোটেল থেকে বিভিন্ন রকমের বালিশ নিয়ে আসার অভ্যাস ছিল বলে জানান অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি বাড়ি থেকে বালিশ নিয়ে বেরোতে ভুলে যেতাম। বিমানে অনেকটা পথ যাত্রা করতে হত। তাই হোটেল থেকে বালিশ তুলে নিতাম, যাতে যাত্রার সময়ে ঘুমোতে পারি।’’
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে জাহ্নবীর ছবি ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’। এই ছবিতে উঠতি ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী।# তথ্য: আনন্দবাজার পত্রিকা/কলকাতা