নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার উজালখলসী বিলে বিভিন্ন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে আবারোও। আবাদি জমি গুলোতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে নিরব ভুমিকা পালন করছেন। পুকুর খননের ধ্বংসযজ্ঞ চললেও প্রশাসন যেন কিছুই দেখছে না। নাম মাত্র কিছু অভিযান চালালেও পুকুর খননকারী থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ হুমকীর মুখে পড়ছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার উজালখলসী বিলে বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর কার্ত্তিক শাহা দুর্গাপুর উপজেলার উজালখলসী বিলে প্রায় ৭০ একর জমি দখল নিয়ে পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। পরে ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলপুকুর এই খনন কাজ। হঠাৎ করে এখন আবারও পুকুর খনন শুরু করছেন একই উপজেলার গোপালপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বেলাল। তিনি কয়েকবার দেন দরবার করে সাবেক কাউন্সিলর কার্ত্তিক শাহরে কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে নিয়ে আবারোও শুরু করা হয় অবৈধ পুকুর খননের কাজ। এতে বর্ষা মওসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়বে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার ফসলি জমি অনাবাদি এবং পাড়া-মহল্লার বাড়ি-ঘরে ঢুকে পানি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে।
অপরদিকে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে জমির প্রকৃতি (শ্রেণী) পরিবর্তন করা যাবে না।কিন্তু অবৈধ পুকুর খননকারিরা উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ফসলি জমিতে চালিয়ে যাচ্ছে হরদম পুকুর খনন। তবে অনেক কৃষক প্রভাবশালী অবৈধ পুকুর খননকারীর নাম বলতে ভয় পেতে দেখা গেছে।
অপরদিকে,একটি সুত্র জানায় দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন এর আগে (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার উজানখলসী বিলে অভিযান চালায়। কিন্তু ঈদুল আজহার পর থেকে ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে রাতে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছ। বর্তমানে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে নিরব ভুমিকা পালন করছেন।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিনর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। আর সে কারণে তার বক্তব্যে পাওয়া যায়নি।#