আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় দিনাজপুরের অতিরক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ শ্যাম সুন্দর রায় আদালত এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
মামলার রায় ঘোষনাকালে আসামি মমতাজ উদ্দিন-সহ আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। মামলার অপর তিন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান, মর্জিনা বেগম ও জেসমিন আরা রুবিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ মামলায় বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ পি পি মোস্তাফিজুর রহমান। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট দেবল চন্দ্র সরকার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ৮ জুলাই দুপুরে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় পাঁচবছর বয়সী শিশু মিরাজ কাজী বাড়ী থেকে বের হয়ে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে পরদিন ৯ জুলাই সকালে অভিযুক্ত মমতাজ উদ্দিনের দেখানো ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ফুলবাড়ী থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ অভিযুক্ত মমতাজ উদ্দিন কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৯ জুলাই বেলা ১১ টায় শিশু মিরাজ কাজীর পিতা মাহবুবুর রহমান কাজী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় প্রধান অভিযুক্ত মমতাজ উদ্দিন সহ চারজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য- প্রমাণ উপস্থাপন ও শুনানি শেষে বিচারক দিনাজপুরের অতিরক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ শ্যাম সুন্দর রায় আজ এ মামলার রায় ঘোষনা করেন। বিচারক রায়ে আসামী মমতাজ উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ে অপর তিন আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।# বাসস