বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে আলোচিত ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এখনো মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই তানোর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী ব্যবসায়ী কাজে বের হয়।এদিন মুন্ডুমালা বাজারের মেসার্স হক এন্টার প্রাইজে (দোকান) মোটরসাইকেল রেখে যায়। কিন্তু তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ১৬ জুলাই তার স্ত্রী তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন ১৮ জুলাই পাবনার ঈশ্বরদী হার্ডিং ব্রিজের নিচে শাহজাহানের লাশ পাওয়া যায়। একই দিন নিহতের স্ত্রী সেলিমা জাহান বাদি হয়ে তানোর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় নিহত শাহজাহানের ব্যবসায়ী পার্টনার মেসার্স নাবিলা এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আখেরুজ্জামান (সেলিম) এবং একই গ্রামের সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মুন ও তার পরিবারের ৬ জনসহ মোট ১০ জন।
স্থানীয়রা বলছে, সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে সাংবাদিক পরিবারের সঙ্গে ২ শতক জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল এবং নিহতের ব্যবসায়ীক পার্টনার সেলিম এর সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে খুন করতে পারে বলে সন্দেহ করে এজাহারে উল্লেখ করেন।
এদিকে আসামীরা দাবি করেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমরা জড়িত নই। তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি গতভাবে মামলাটি তদন্ত করলে এবং মোবাইল ট্র্যাকিং করলে আসল অপরাধীরা ধরা পড়বে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন হবে।
স্হানীয় অসমর্থিত সূত্র জানায় বাদী নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কারণ শাহজাহান নিখোঁজ হওয়ার সময় মোবাইল বাড়িতে রেখে গেছিল। আবার ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টে দেখা যায় শাজাহান এর ছেলে শফিকুল ইসলাম স্মরন এর সাথে ডিএনএ রিপোর্ট মিলে নাই । তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে ছেলে শফিকুল ইসলাম স্মরন কোন পক্ষের। নাকি বাদী সেলিনা জাহানের পরকিয়া ছিল এমন মুখরোচক আলোচনা এলাকায় মানুষ করে।
এ বিষয়ে পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নং ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#