মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তানোর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সায়মা আঞ্জুমান, তানোর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম, তানোর আল মাদ্রাসাতুল ইসলাহিয়ার সুপার মোকসেদ আলী, কালীগঞ্জ হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মিজানুর রহমান, চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডী, মুন্ডুমালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সাদিকুল ইসলাম, তালন্দ আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন, জিওল দারুসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আসলাম মিঞা, মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার সুপার আমির উদ্দিন, ছাঐড় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা মাহমুদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
সভায় ইউএনও লিয়াকত সালমান তার বক্তব্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান চিত্র তুলে ধরে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য, তানোর উপজেলার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শতভাগ ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তোলেছে। আগামীতে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক শিক্ষককে আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই যেন শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন বিদ্যালয়ে না আনে, সে বিষয়ে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে সতর্ক থাকতে হবে।”
সভায় ইউএনও লিয়াকত সালমান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি আপনাদের শিক্ষাপরিবারকে নিয়ে কাজ করতে চাই—শিক্ষকের মর্যাদা, শিক্ষার মান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমি আন্তরিক। তানোর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।” সভায় শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা, উপস্থিতি, পরীক্ষার ফলাফল ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ এ সময় তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।#