বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে মুন্ডুমালা হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জেল নং ৬৮, সাদিপুর মৌজার আরএস দাগ নং ১৩৯, পরিমাণ ১৭ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। জমিটি প্রয়াত অধ্যাপক লুৎফর রহমানের পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে তার পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। তবে ভুলক্রমে জমিটি “এলমে কেরাত হাফেজিয়া মাদরাসা” নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। লুৎফর রহমান বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে রেকর্ড সংশোধনের আবেদন জানান। বর্তমানে রাজশাহীর সহকারী জজ আদালতে মামলা নং ২৭৩/২০২১ বিচারাধীন রয়েছে। আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমির ওপর ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শনিবার সকালে আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে মুন্ডুমালা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন এর নেতৃত্বে একদল বহিরাগত ও শিক্ষার্থী নিয়ে জমিটি জবরদখল করেন। এসময় লুৎফর রহমান পরিবারের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসার লোকজন দোকান ঘর ভাঙচুর করে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেয়। বাধা দিতে গেলে লুৎফর রহমানের পরিবারের সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইসরাফিল হোসেন বলেন, “প্রায় ২০ বছর ধরে আমি লুৎফর রহমানের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে মুরগির ব্যবসা করছি। কিন্তু হঠাৎ করেই মাদরাসার লোকজন এসে দোকান ভেঙে জমি দখল করে নেয়।” অন্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম ,শরিফ উদ্দিন, সুজিৎ ও উত্তম অভিযোগ করে বলেন, “আমরা সবাই ওই জমি লুৎফর রহমানের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতাম। এখন হঠাৎ করে কিভাবে এটা মাদরাসার জমি হয়ে গেল তা আমাদের বোধগম্য নয়।”
স্থানীয়রা জানান, “এলমে কেরাত হাফেজিয়া মাদরাসা” নামে কোনো প্রতিষ্ঠান অতীতে ওই এলাকায় ছিল না। তবুও ওই নামে রেকর্ডভুক্ত দেখিয়ে কামিল মাদরাসা জমির মালিকানা দাবি করছে। এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল ও ব্যবসায়ীরা ঘটনাটির তদন্ত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#