1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
ঠাকুরগাঁওয়ে  প্রশাসনের অনুমতিতেই ‘আজাদ মেলা’য় চলছে অশ্লীল নৃত্য ও লটারি গাজীপুরের মাওনায় আজকালের আলো সাহিত্য সম্মাননা প্রদান ২০২৪ অনুষ্ঠিত দলীয় কর্মকাণ্ডে বাধা রইল না বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র সাইদুর রহমান মুন্টুর গাইবান্ধার নলডাঙ্গা রেলষ্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের ষ্টপেজ ও টিকেট সরবরাহের দাবি  টঙ্গীতে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু, জুমার জামাতে লাখো মুসল্লি গোদাগাড়ীতে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আম বাগান ও কালাই ক্ষেত গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রূপসায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও দাওয়াতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বাঘায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আফজালের দাফন সম্পন্ন জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরনে স্মরণসভা পোরশায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জশাহী-২ সদর আসনে এগিয়ে নৌকা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# আলিফ হোসেন, প্রতিনিধি………………………………………………..

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ সদর আসনে প্রচার-প্রচারণার শুরুর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে কিছুটা  চাপের মুখে পড়লেও শেষ সময়ে এসে রাজশাহী-২ আসনে নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। এতে কোনঠসা হয়ে পড়েছে  স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা (কাঁচি)। ফলে এই সংসদীয় আসনে এবার প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে মেইন ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে কোনো ব্যক্তি নয় প্রতিক নৌকা।

আগামী ৭ জানুয়ারী রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই নৌকার জনসমর্থন বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হয়ে  তারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের পক্ষে ধরে রাখতে পারছেন না বলে মনে করছে সাধারণ ভোটারগণ। ফলে  নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে প্রার্থী নয় মেইন ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে প্রতিক নৌকা।

অন্যদিকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বোধদয় হয়েছে এটা স্থানীয় নয় ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন। কাজেই সরকার দলীয়  প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। যার জ্বলন্ত উদাহরণ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বিগত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করে কিভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছিল। রাজশাহীর মানুষ সেটা ভুলেনি। ফলে রাজশাহী-২ আসনের মানুষ  উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে কোনো ব্যক্তি নয়, সরকার দলীয় প্রার্থী তথা নৌকার বিজয় চাই।

এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের  মাঝে বোধদয় হয়েছে এটা দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার  প্রেষ্টিজ। তাই তারা এবার কারো কোনো মোহে বা প্ররোচনায় পড়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না, করতে পারেন না। তাদের অভিমত, ভুল থাকতে পারে প্রার্থী বা কোনো নেতাকর্মীর। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোনো ভুল করেননি। ফলে তার সম্মান রক্ষায় তার দেয়া প্রতীক নৌকার বিজয় ব্যতিত বিকল্প নেই। কারণ দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটলে কেউ প্রার্থীর পরাজয়ের কথা বলবে না, বলবে নৌকার পরাজয় ঘটেছে, আর এটা আওয়ামী লীগের আদর্শিক কোনো নেতা বা কর্মী-সমর্থকের কাম্য হতে পারে না।

এছাড়াও বৈশ্বিক রাজনীতির কারণে এখানে নৌকার প্রার্থী জননেতা ফজলে হোসেন বাদশার বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। জানা গেছে, শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ প্রধানের দেয়া মনোনয়নের বিরোধিতা করে এই আসনে আওয়ামী লীগের একটি অংশ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নামে। তবে প্রচারণার শেষ দিকে এসে বদলে যায় সেই চিত্র। মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একটি বড় অংশ মাঠে নামে নৌকার প্রার্থী ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে। একদিকে নৌকা প্রতীক, অন্যদিকে ব্যক্তি ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়ে নগরীর ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক ধারণার কারণে এই আসনে বেড়েই চলেছে নৌকার প্রতি সমর্থন।

নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে ফজলে হোসেন বাদশার জনসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার বিষয়টিকে তারা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। সব মিডিয়ায় ভিডিওসহ খবরটি প্রকাশিত হলেও রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে উল্টো নৌকা সমর্থকদের দোষারোপ করার বিষয়টিও সাধারণ ভোটাররগণ নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ফজলে হোসেন বাদশা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে পরিচিত। বিশেষ করে প্রচারবিমুখ এই নেতার ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে নানা সময়ের আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়টি ভোটারদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাজশাহীতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিষয়টির কৃতিত্ব এখনও ভোটাররা বর্ষীয়াণ এই রাজনীতিককেই দেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের পর থেকে প্রায় ৫০ বছর রাজশাহী-২ আসনে সংসদ নির্বাচনে কোনোদিন নৌকা জয়ের মুখ দেখতে পায়নি। পুরো সময়টাতেই এখানে জয়জয়কার ছিলো বিএনপির। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫০ বছর পর ফজলে হোসেন বাদশার হাত ধরে প্রথম এই আসনে নৌকা জয় পায়। এরপর থেকে টানা তিনবার তিনি নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে সংসদ সদস্য হয়েছেন।

সামরিক শাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেননি। সেই নির্বাচনে কমিউনিস্ট লীগের প্রার্থী হিসেবে ফজলে হোসেন বাদশা ৩৪ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। বিগত ২০০২ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নামা রাকসুর সাবেক ভিপি বাদশার সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য ঐক্য তৈরি হয়। ওই নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে বাদশা হারলেও অভিযোগ ওঠে, বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল বদলে দিয়েছিল। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হলে বিগত ২০০৮ সালে ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো বাদশার হাত ধরেই এই আসনে নৌকা বিজয়ী হয়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘যে মানুষটির হাত ধরে এই আসনে ৫০ বছর পর নৌকা জয়ের মুখ দেখেছে, তাকে ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের অপপ্রচার থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেইসব অপপ্রচার দিয়ে নৌকার বিজয় ঠেকানো যাবে না।’

এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলটির একজন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও তার পরিবারের কঠোর চাপের কারণে দলের একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকলেও তাদেরও বেশিরভাগই নৌকার বিপক্ষে ভোট দিতে চান না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর আওয়ামী লীগের একজন জৈষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। কারণ রাজশাহী একটি বিশেষ পরিবারের হাতে জিম্মি। এখন সেই পরিবারের বিরোধিতা প্রকাশ্যে করার সাহস আমাদের অনেকেরই নেই। যদিও ভেতরে ভেতরে পরিস্থিতি ভিন্ন।’ তার দাবি, এই আসনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই ভোটারদের রায় যাবে।

শাহমখদুম থানা এলাকার সাধারণ ভোটার বিল্লাল হোসেন জানান, জনৈক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন এসে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, যাতে নৌকার পক্ষে ভোট না যায়। বিল্লাল বলেন, ‘জন্মের পর থেকে নৌকায় ভোট দিয়ে এসেছি। এখন কী জন্য অন্য মার্কায় ভোট দিতে যাবো ?

রাজশাহী  নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ বছরে ফজলে হোসেন বাদশার টানা তিন মেয়াদে এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। একাধিক প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হয়েছে। এমপিওভুক্ত হয়েছে সব প্রতিষ্ঠান। ঢাকা-রাজশাহী সরাসরি ট্রেন চালুর বিষয়টি তিনি সংসদে তুলে ধরে সফল হয়েছেন। এর বাইরে বন্ধ বিমানবন্দর চালুর ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা ছিলো তার।

রাজশাহী মহানগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে সবচেয়ে বড় দুটি রাস্তার কাজও তিনিই বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে পরীক্ষিত এই নেতার বিষয়ে সাধারণ ভোটারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। রাজশাহীর চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মী আহসান কবির লিটন বলেন, “ফজলে হোসেন বাদশার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, তিনি দুর্নীতি নিজে করেন না। দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেন না। এর বাইরে এখানে প্রগতিশীল রাজনৈতিক চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য তার অবদান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি আমিনুর রহমান খান রুবেলের দাবি, রাজশাহীতে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট মানুষকে ভুল বোঝাতে চেয়েছিলো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তার করণীয় নির্ধারণ করে ফেলেছে যে তারা নৌকায় ভোট দেবে এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট