1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
খুলনায় তালিকভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী রকি গ্রেফতার পাবনার চাটমোহরে প্রথম নারী এএসপি আরজুমা আকতারের যোগদান নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ ঠাকুরগাঁওয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব যুবদল নেতা হত্যা মামলায় নরসিংদীর পলাশের সাবেক এমপি ৩ দিনের রিমান্ডে পাবনার চাটমোহরে নিমাইচড়ার খন্দবাড়িয়া রাস্তা পাকাকরন ও ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর  দাবী বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কিছুটা সফলতা দেখালেও এখন পর্যন্ত তা রয়েই গেছেঃ জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব- আখতার হোসেন উপ-সম্পাদকীয়: সর্বনাশা কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধ হোক ভোলাহাটে হাঁড় কাঁপানো শীত, সরকারিভাবে দেখা মেলেনি  গরম কাপড়-চোপড়ের ভোলাহাটে থানা পুলিশের মাসিক আলোচনা সভা

জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য বিএনপি’র অপচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

সবুজনগর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার নস্যাতের যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বিএনপি আবারও দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধবংস করে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে।

তিনি বলেন, “নির্বাচন তাদের (বিএনপির) উদ্বেগের বিষয় নয়, কারণ তারা আবারও জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে’ প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ৩০টি আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এ কথাটা জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে, ওরা ভোট করতে আসেনা এবং ভোটও পায় না। কারণ ওরা তো জঙ্গিবাদী, লুটেরা, সন্ত্রাসী। মানুষের শান্তি ও সম্পদ ওরা কেড়ে নেয়। মানুষের ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়। ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়ে সেখানে পুকুর কেটে কলাগাছ লাগিয়ে দিতেও আমরা তাদের দেখেছি। কাজেই লুটেরা, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদে বিশ্ববসীরা মানুষের কোন কল্যাণ করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের আইভি রহমান সহ ২২ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

তিনি বলেন, “ইলেকশন তাদের কথা নয়, তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলতে চায়। কারণ তাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারির হাতে। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি, তারা নাকি এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করবে।

তিনি বলেন, যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে, মার্শাল ল’ দিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছিল। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা সেই ক্ষমতাসীনদের হাতে তৈরী সংগঠন ঐ বিএনপি।

সরকার প্রধান বলেন, সংবিধানে যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল, সেই সংবিধান মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধী এবং পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীদের যারা রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তারা এ দেশের কল্যাণ কোনদিন চাইতে পারে না, তারা চায়না। তারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। অন্যদিকে যখন আজকের এই বাংলাদেশ (উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে) এবং আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখনই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রকাশনা মাতৃভূমি’র বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁকে স্বাগত জানান।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সমাবেশে বক্তৃতা করেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
বিশাল ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

মহাসমাবেশে শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের বর্তমানকে উৎসর্গ করার জন্য এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার জন্য লাখো শিক্ষার্থীকে শপথ পাঠ করান ছাত্রলীগের সভাপতি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কবিগুরুর কবিতার পংক্তি “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই? নি:শেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।” উদ্ধৃত করে জাতির পিতার কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাঁর সেই আদর্শ নিয়েই পথ চলা।
তিনি বলেন, আমার কোন ভয় নেই, দেশের মানুষকে ভালবাসি, স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা ’৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আমি সেটাই তোমাদের কাছে চাই। শুধু ’৪১ এ থেমে থাকবেনা বাংলাদেশ, ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যানও আমি করে দিয়ে গেছি। কাজেই এই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, “অতন্ত্র প্রহরীর মত ছাত্রলীগকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। সবথেকে বড় কথা শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি-ছাত্রলীগের মূলনীতি। এই নীতি মেনে ছাত্রলীগকে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে পাঠে মনোনিবেশ করে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাঁর সরকারের করে দেয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলারও পরামর্শ দেন।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যারা চোখে দেখেন না তাদের তাঁর সরকারের করে দেয়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে চক্ষু পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগের জন্য তার ছাত্রদলই যথেষ্ট’ – খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আর তিনি ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কাগজ-কলম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না।

তিনি বলেন, যারা চোখ থাকতেও সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না, তাদের উচিত দশ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করানো। আসলে তাদের মনের দরজায় অন্ধকার। তারা পরাজিত শক্তির পদলেহনকারী। সেজন্য তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন দেখে না। হাওয়া ভবন খুলে খেতে পারছে না বলে তাদের যতো দু:খ।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট