
বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় রিফাত আলী ও সোহাগ আহমেদ নামে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সার্কিট হাউস মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে এবং পুলিশ বক্স ও পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। নিহতদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। নিহত রিফাত আলী (১৮) পৌর এলাকার আজাইপুর পচাপুকুর মহল্লার শাহ আলমের ছেলে এবং সোহাগ আহমেদ (১৮) চান্দলাই জোড়বাগান মহল্লার আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ সড়কের সার্কিট হাউস মোড়ে রিফাত ও সোহাগ মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাদের থামার সংকেত দেন। সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই রিফাত আলীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগ আহমেদকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগের বাবা আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের ধাওয়ার মুখে পড়ে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই তরুণ ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা সার্কিট হাউস মোড়ে সড়কের ওপর একজনের মরদেহ রেখে অবরোধ সৃষ্টি করে। পরে বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং সেখানকার আসবাবপত্র বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সময় ঘটনাস্থলের অদূরে শান্তিবাগ এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ফাঁড়িতে থাকা একটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাদের ধাওয়া করে। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এন এম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।#