# কাবিরুল ইসলাম, গোমস্তাপুর, চা;ঁনবাবগঞ্জ থেকে……………..
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উজানের ঢলে ডুবে গেছে প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছেেএ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ধানচাষীরা। শ্রমিক সংকটের কারণে সময় মতো ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, উজানের ঢলে পূর্নভবা নদী ভরে গেছে। নদীর পানি উপচে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের কুজাইন বিল, ভাটখোর, রোকনপুরগঞ্জ এলাকায় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে আছে। এ উপজেলায় এবার ৪১ হাজার ৮৩২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ বাদ হয়েছে। এর মধ্যে রাধানগর ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার ৪৭৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষবাদ করেছেন কৃষকরা।
রোকনপুরগঞ্জের এলাকার ধানচাষী আব্দুল হামিদ বলেন, কুজাইন বিল এলাকায় সাত বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম।প্রথম থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালোই হয়েছিল। গত চার পাঁচ দিন ধরে কুজাইন বিল এলাকার জমি গুলো উজানের ঢলে ডুবে গেছে। তিনি আরো জানান, আমাদের এলাকার পূর্নভবা নদীর গভীরতা কম। উজানে ঢলে দ্রুত নদী ভরে যায়। নদীর পানি উপচে এলাকার সব ফসল ডুবে গেছে। তিনি দাবী জানান, পূর্নভবা নদী খনন করে গভীরতা বাড়ালে ধান কাটার সময় পেত কৃষকেরা।
ইসরাফিল হোসেন নামে আরেক কৃষক বলেন, রোকনপুরগঞ্জ এলাকায় আমার পরিবারের সবাই মিলে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষবাদ করেছি। কয়েকদিন ধরে উজানের ঢলে ধানী জমি গুলো তলিয়ে গেছে।
রাধানগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফুয়াদ আলী জানান রাধানগর ইউনিয়নের ৪ মৌজায় প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার আরো বলেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করছি। পানিতে কি পরিমাণ জমির ধান নষ্ট হয়েছে আমরা খুব শীঘ্রই জানতে পারবো।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ই এপ্রিল) এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ুন রেজা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসন এ কে এম গালিভ খান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।#