গোলাম রব্বানী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি………………………………………………
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে। কমিটিতে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়ম বর্হিভূত দুইজন প্রাক্তন ছাত্ররা সভাপতি পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বহুদিন যাবৎ এখানকার ছাত্ররা রাজনীতির সাথে জড়িত ছাত্ররা একটি সুশৃংখল কমিটি গঠনের জন্য তোরজোর করছে ।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ এর নেতৃবৃন্দরা ক্যাম্পাসে এসে কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ প্রদান করে গেছেন গত ১০ই সেপ্টেম্বর। নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপে কমিটি গঠনের জন্য মেডিকেল কলেজের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা জীবন বৃত্তান্ত জমা দিচ্ছে বাংলদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে জানা যায়, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আরো আগে পাশ করে বেরিয়ে গেছে এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে তারা তাদের ইন্টার্নশীপ শেষ করেছে, তাদের মধ্যে উল্লেখ্য দুই জন ছাত্রলীগের এই কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর গঠনতন্ত্রের নিয়ম বহির্ভূত। মেডিকেল কলেজের ছাত্রত্ব না থাকা সত্বেও শফিকুল ইসলাম (শাফিক) ও খোরশেদ আলম (খোরশেদ)নামক দুই প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বাইরের হসপিটালে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত। তারা ছাত্রলীগের এই কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসাবে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। ছাত্রলীগের এই কমিটিতে এদের জীবনবৃত্তন্ত জমা দেওয়ার ব্যাপারটা সমগ্র মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
গোপন সূত্রে আরো জানা যায় ডা: শফিকুল ইসলাম (শাফিক) মেডিকেল কলেজের ছাত্রত্ব অনেক আগে শেষ হওয়ার পরেও জোর করে ইন্টার্ন হোস্টেলের ৫০৬ নাম্বার রুম এখনও দখল করে বসে আছে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে নতুন কমিটি গঠন হচ্ছে, ব্যপারটা আমরা সাধুবাদ জানাই নেতৃবৃন্দকে। কিন্তু নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের দাবী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উপমহাদেশের সর্ববৃহত ছাত্র-সংগঠন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এখানে ছাত্ররাই প্রাধান্য পাবে বলে আমরা মনে করছি। আমরা অবাক হচ্ছি যারা আমাদের এই মেডিকেল কলেজের নিয়মিত ছাত্র না, ছাত্রজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে তারা কিভাবে ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে চায়।
এ ব্যপারে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন এর কাছে কলেজের সকল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হবে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদেরকে বলেছি যে কমিটিই হোক না কেন তা সম্পূর্ন নিয়মতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় যেন হয়। ডাঃ শফিকুল ইসলাম (শাফিক) এর ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাঃ শাফিক পাশ করে বেরিয়ে গেছে আরো আগে, সে কিভাবে কলেজ হোস্টেলে থাকে, ব্যপারটা আমার জানা ছিলোনা। তিনি আরো বলেন, শাফিক যদি এখনও হোস্টেলে অবস্থান করে, অতি দ্রুত তাকে অপসারনের ব্যবস্থা করছি।#