# গোলাম রব্বানী স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ…………………………………………………..
গোপালগঞ্জের ১ নং জালাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী ইউপি সদস্য আশ্রায়ে তারই আপন লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। গোপালগঞ্জের জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘেনাশুর বড়ফা গ্রামে বাড়ির সামনে টোং বানিয়ে বসে থেকে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করায় প্রতিবাদ ও স্থানীয় অলিয়ার মেম্বারের কাছে নালিশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারই ইশারায় পালিত হাসান মোল্লা, রায়হান মোল্লা, নয়ন মোল্লা, মামুন মোল্লা, আবু তালেব মোল্লা, হাছান মোল্লা, রাজন মোল্লা সহ আরো অনেকে সেকেন্দার আলী মূন্সীর পরিবারের উপর হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হয় সি,এ পড়ুয়া ছাত্র সেকেন্দার আলী মূন্সীর ছেলে সোহাগ মুন্সী।বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সেরেজমিনে গেলে জানা যায়, জালালাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী ইউপি সদস্য অলিয়ার মোল্লা নিজের দায় এড়াতে অভিনব কায়দায় ফিল্ম স্টাইলে নিজেকে উপজেলা প্রশাসনের সামনে হাজির রেখে তার লোকজনদের দিয়ে এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটায়। যে সকল সন্ত্রসীরা সেকেন্দার আলী মূন্সীর বাড়িতে হামলা করে তার ছেলে সোহাগ মোল্লাকে গুরুতর আহত করেছে তারা অলিয়ারে পালিত লোকজন।
এ ব্যপারে মৃত সেকেন্দার মূন্সীর “ল” পড়ুয়া মেয়ে হাজেরা খানম গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করার রাস্তায় মুখে আমাদের এলাকার মেম্বার এর ছেলে ভাইয়ের বেটারা টোং করে মাচালী বেধে বসার জায়গা করেছে ওরা ওখানে বসে ওরা বিভিন্ন প্রকার নেশা, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কেউ বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করাই এই বোকাটে ছেলেদের কাজ। আমার ভাই ঢাকাতে সি,এ পড়ে সে ঢাকা থেকে এসে ওদের এই বাজে কর্মকান্ড দেখে প্রতিবাদ করে। ওরা না শুনলে আমরা ওলিয়ার মেম্বারকে জানাই ওলিয়ারকে জানানোর পর সন্ত্রাসী রাস্তার আরেক পার্শ্বে আরো একটি টোং মাচালী করে। আড্ডা ও লোকজনকে বেশি করে ইভটিজিং করতে থাকে। বাধা দেওয়ায় ওরা আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করে। ওরা আমার ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করে পা ভেঙ্গে দেয়।
হাজেরা আরো বলেন, ঘটনার দিন আমাদের সাথে বোকাটে ছেলেদের যখন তর্কাতর্কি হয় মেম্বার ব্যাপার টা সমাধান না করে বখাটেদের বলে যায় আমি এই ব্যপারে আর নেই তোরা যা পারিস তাই কর। মেম্বারের আশ্রয়েই তারা আমাদের উপর এই হামলা পরিচালনা করেন। আমি আমরা পরিবারের উপর হামলা কারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর মডেল থানায় কোন মামলা না হলেও গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলার প্রস্ততি চলছে।#