# শাহরিন সুলতানা সুমা, গাইবান্ধা থেকে……………………………….
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন ভূমি দস্যুদের হাতে জিম্মী হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত করতে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে এলাকাবাসি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দীন জানান, কাপাসিয়া কাজিয়াচর ইউনিয়ন কাজিয়াচর বোচাগাড়ি মৌজার দিনমজুর ভূমিহীন পরিবার ১৭০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর এক শ্রেণির সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু এসব জমি জবরদোখল করে ভোগ করছে।এলাকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতা যিনি ৬শ’ পরিবারকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ৭০ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে। বাকি জমিগুলো কাঁপাসিয়া ইউনিয়ন ভূমিদস্যুকে লিজ দিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঐ নেতা।
জানা গেছে, সম্প্রতি এলাকার ভূমিহীনরা বাধ্য হয়ে ধুফনি কন্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করতে গেলে ১৫ নং কাঁপাসিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজনু মিয়ার বাধার মুখে তারা অভিযোগ করতে পারেনি। চেয়ারম্যান মজনু মিয়া জামায়াতপন্থী হওয়ার পরও কি করে এত ক্ষমতা নিয়ে চলাফেরা করছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সূত্র জানিয়েছে চেয়ারম্যান মজনু মিয়া সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের আশ্রয় দিয়ে এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে।তারই ইন্ধনে ভূমিদস্যুরা ভূমিহীনদের বসবাস করার জায়গা দিবে বলে জন প্রতি ১০/১২ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু আর জমি দেয়নি।
কাঁপাসিয়া ইউনিয়নে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর সংখ্যা অনেক। তারা দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে এলাকার অসহায় গরীব মানুষকে চুষে খাচ্ছে। হাজার হাজার খাস জমি দখল করে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে।এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না নেয়া হলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটাতে পারে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দীন জানান যে, তিনি চরম আতংকে রয়েছেন সন্ত্রাসীদের হুমকিতে। কাঁপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী যে কোন সময় তাকে মেরে তার লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে পারে অথবা গুম করতে পারে এ তার আশংকা।’৭১’র রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের কাছে জিম্মী পয়ে পড়েছেন। রাজনৈতিকভাবে জামায়াতপন্থী হওয়ার পরও মজনু চেয়ারম্যান কি করে স্বাধীন মাটিতে সন্ত্রাসী কমর্কান্ড পরিচালনা করতে পারে তা সবাইকে হতবাক করছে। এলাকাবাসি জামায়াতপন্থী চেয়ারম্যান মজনুর শাস্তি দাবি করছে প্রশাসনের কাছে।#