শাহাদত হোসেন খোকন/শাহরিন সুলতানা সুমা,গাইবান্ধা…
গাইবান্ধা জেলার খোলা হাঁটি ইউনিয়নে পরিবেশ দূষণ করে অবৈধভাবে ইট ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে প্রায় সকল ইট ভাটায়।এতে করে একদিকে দেশের বনজ সম্পদ উজাড় হচ্ছে অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশ দূষণ করছে। কালো ধোঁয়ায় বিশাক্ত হয়ে উঠছে গোটা পরিবেশ। সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে এ এলাকার মানুষ। কিন্তু প্রশাসন জানা ও বুঝার পরও কোন রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না ইটভাটা বন্ধে।
MRH ব্রিকস দাঁড়িয়াপুর গাইবান্ধা মামুন হক্কানী বাংলা বাজার গাইবান্ধা, Abd ব্রিকস এ তিরমোহনী রোড গাইবান্ধা ২ টি ইট ভাটা খোলা হাঁটি সুমন হক্কানী ইট ভাটা পরিবেশ অধিদপ্তর, বি এস টি আই লাইসেন্স ছাড়াই, ভাটা চালাচ্ছে অবৈধ ভাবে। ইট ভাটা কাঁকড়া দিয়ে মাটি খোঁড়া কাজ চলছে, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ইট ভাটা থেকে। অথচ প্রশাসন নিশ্চুপ নির্বিকার। যেন প্রশাসন চোখে দ্যাখে না কানেও শুনে না কিন্তু কেন?
রংপুর বিআরবি ব্রিকস, চৌধুরানী ৩ টি ইট ভাটা মালিক সমিতির অবৈধ ভাবে চালাচ্ছে ইট ভাটা, মালিক রিয়াজুল রাজ্জাক পরিবেশ অধিদপ্তর লাইসেন্স ছাড়াই ভাটা চালাচ্ছে। পীরগাছা ৩ টি ইটভাটা মালিক রয়েছে যার মালিক মোকছেদ আলী ব্রাদার্স, এসএমবি ইটভাটা আলহাজ্ব মোঃ শ ওকত আলি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিল্পব। সাদুল্যাপুর ৩ টি ইট ভাটা রয়েছে, সেখানে নওশা মিয়া গাইবান্ধা বাংলা বাজার গাইবান্ধা ইটভাটা, নয়ারহাট তুলিপ , সর্বানন্দ ইউনিয়নের ইট ভাটা রয়েছে।
এক জরীপে দেখা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় ১৪৪টি ইট ভাটা রয়েছে। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রংপুর বিভাগের ২ হাঁজারের বেশি ইট ভাটা রয়েছে। এ গুলোর প্রায় সবগুলো অবৈধ, সরকারের কোন অনুমতি নেই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের রমারমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা মালিকরা। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কেন কোনরুপ ্আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা সচেতন মহলের এটাই জিজ্ঞাসা।#