ক্যাপশন: রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নেহালপুর ও দেবীপুর আঠারোবেঁকী ভাঙ্গন এলাকা। …………….ছবি: প্রতিনিধি
# শহিদুল্লাহ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে……………………………..
খুলনা জেলয় রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নেহালপুর ও দেবীপুর এলাকায় আঠারোবেঁকী নদীর পাশে গড়ে উঠেছে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। এখানে গড়ে ঊঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসিরা নদী ভাঙ্গনের চরম আতংকে দিনযাপন করছে।
এ দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় প্রথম ধাপে:-২৩ ও দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ টি মোট ৬২ টি ঘর। উক্ত ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সহায় সম্বলহীন মানুষগুলি, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে বসবাসের পাশাপাশি নদীর পাশ দিয়ে গড়ে তুলছেন কৃষি খামার, এখান থেকে নানা রকম সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সে সকল সবজি বাজারে বিক্রয় করে ও অর্জন করেছে মুনাফা। এখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রয়েছে দুই টি সুবর্ণ নাগরিক.(প্রতিবন্ধী) পরিবার ও বসবাস করে আসছে সকলে, ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও তাদের আতংক শুধু নদী ভাঙ্গন নিয়ে যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে।
প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষ গুলির কৃষি জমি এবং কৃষি জমি শেষ হলেই চলাচলের রাস্তা এবং রাস্তা শেষ হলেই নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া সহায় সম্বলহীন মানুষের জমিসহ ঘর।
রূপসায় নেহালপুর আশ্রয় প্রকল্পে থাকা সুবর্ণ নাগরিকের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমাদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ছিলোনা যেখানে আমরা বা আমাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারতাম, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কথা চিন্তা করে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমাদের বিনামূল্যে প্রদান করেছেন, বসবাসের জন্য জমি সহ ঘর। ঘর তৈরির সময় আঠারোবেঁকী নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করেন, যা আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ৬২ ঘরের তিন ভাগের একভাগ। এ দিকে বাকি দুই ভাগ ভাঙ্গন রোধে রূপসার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুলের উদ্যোগে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অস্থায়ী বাঁধ টিকে থাকলেও প্রকৃতিক নিয়মের ফলে নদী গর্বে বিলীন হয়েছে নৈহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দেওয়া অস্থায়ী বাঁধ। প্রায় প্রতিদিনই আঠারোবেঁকী নদীর পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কৃষি জমি বড় বড় আকারে ধ্বসে বিলীন হতে শুরু করেছে।
এ দিকে নদী ভাঙ্গনের ফলে দিনদিন এগিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপহারের ঘরের দিকে নদী ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো বিলীন হতে পারে আঠারোবেঁকী নদী গর্ভে, সকল সময় আতংকিত রয়েছেন, নেহালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী, কখন না জানি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জমি সহ ঘর আমাদের শেষ আশ্রয়স্হল ও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
তাঁরা বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের জোরদাবী নদী ভাঙ্গন রোধে স্হায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ আমাদের স্হায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ সহ উপযুক্ত ব্যাবস্থা করা হোক, আমরা যেন পরিবার নিয়ে এখানে সুখে শান্তিতে দিন রজনী কাটাতে পারি।#