# চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস, খুলনা থেকে…………………………………..
খুলনার খন্ড খন্ড ইতিহাস”লেখক নাসির আহমেদ এর গ্রন্থ চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসকে উপহার তুলে দেন লেখক নাসির আহমেদ খুলনা আর্ট একাডেমিতে। আজ সন্ধ্যায় তার লেখা খুলনার খন্ড খন্ড ইতিহাস ও রকমারি ভাবনা গ্রন্থটি খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসকে উপহার দিয়েছেন।
এসময় মিলন বিশ্বাস বলেন প্রিয় মানুষের হাত থেকে তার বই উপহার পাওয়া এটা জীবনের বড় পাওয়া। করোনার সময় লেখক একটা তথ্য চেয়েছিলো চিত্রশিল্পী শশীভূষণ পাল কিছু তথ্য ও চারুকলা ইনস্টিটিউট খুলনা, এই সম্পর্কে। প্রয়োজনীয় তথ্য তিনি দিয়েছিলেন । সে কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিল। আজ গ্রন্থটি হাতে দিয়ে তার দেওয়া তথ্য খন্ড খন্ড ইতিহাস থেকে বের করেন বইয়ের ৭৬ পাতায় লেখার সাথে মিলন বিশ্বাসের ছবি ও দিয়েছেন।
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন তার মতো একজন গুণী লেখকের লেখার মাঝে আমার মত একজন ক্ষুদ্র মানুষের নামটি ছবি সহ যুক্ত হয়েছে এতে আমার ভালো লাগার অনুভূতিটা বলে বুঝাতে পারব না। এতটুকু জীবনে কত মানুষের জন্যই কত কিছু করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কেউ কখনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেনি। আজ আমার বাবা নেই তাকে দেখাতে পারলে বাবা খুব খুশি হতো। আমি ভুলে গেছি সমস্ত অতীতের স্মৃতিগুলি। নাসির ভাই যে আন্তরিকতার সহিত খুলনা আর্ট একাডেমির খোঁজখবর নিয়েছেন সেটা আপন মানুষরাও নেয় না। তার মত গুণী মানুষের কাছ থেকে এটা প্রত্যাশা করা যায়। তাই আমি এই গুনী লেখকের জন্য সব সময় শুভ কামনা করি।
আমি ছবি আঁকার পাশাপাশি বর্তমানে একটু লেখালেখির চর্চা করি। তাই আমি বলব আসলে যারা লেখক তাদের অনেক ভাবতে হয়। আর যদি হয় সে অভাবী ঘরের তবে তো কষ্টের আর শেষ নেই। সারাদিন কাজে-কর্মে ব্যস্ত থেকে না ঘুমিয়ে রাত ভরে চিন্তা ভাবনা করে লেখা সৃষ্টি করেন তারা আসলেই মহা গুণী মানুষ। আর যারা ইতিহাস নিয়ে লেখেন তাদের কথা লিখে প্রকাশ করা যাবে না এটা কত কষ্টের কাজ এটা প্রত্যেক লেখকই জানেন। ইতিহাস লেখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমি মনে করি অনেক জ্ঞানী না হলে এই লেখা সম্ভব না। এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে ভীষণ কষ্ট করতে হয়। ভাই যেখানে লেখা শেষ করেছেন পরের জেনারেশন এসে হয়তোবা সেখান থেকেই আবার নতুন করে লেখা শুরু করবেন অন্য কেউ ।
ইতিহাসের আলোকে হলেও ‘রকমারী ভাবনা’ সংযোজন করে গতানুগতিক লেখা হতে লেখক বের হয়ে আসছেন। লেখক এই বইটি উৎসর্গ করেন দেশ মাতৃকার জন্য। আত্মউৎসর্গিত ও সকল দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে খুলনার খন্ড খন্ড ইতিহাস ও রকমারি ভাবনায় লেখক নাসির আহমেদ এর এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। “রাইটার্স প্রকাশনা,”থেকে। লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ নামঃ নাসির আহমেদ, পিতার নামঃ এ.কে. মকবুল আহমেদ, মাতার নাম : বেগম সাহারা আহমেদ। এই পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থ:০৮ (আট) টি। খুলনার খন্ড খন্ড গ্রন্থে শশীভূষণ পাল ও চারুকলা ইনস্টিটিউট খুলনা, এই ইতিহাসের মধ্যে তিনি কৃতজ্ঞা স্বীকার করেন।
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস যার শিল্প ভাবনা ও চর্চা-কে নাসির আহমেদ শ্রদ্ধা করেন। এই বইয়ের তথ্য-উপাত্তে যার অবদান অপরিসীম। তাই চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন সৃষ্টিশীল মানুষরা তার সৃষ্টির মাঝে অমরত্ব পায়। তাই আমি প্রত্যাশা করি নাসির আহমেদ যেন তার লেখার মাঝে সারা জীবন বেঁচে থাকতে পারেন।#