1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
চাঁপাইনববাগঞ্জে পহেলা বৈশাখ ও সন্যাশি পূজা উপলক্ষে কয়েক ঘন্টার জন্য বসে জমকালো মেলা অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে বাঘায় পহেলা বৈশাখের আয়োজনে বাঘায় ‘চড়ক’ গাছে ঘুরপাক খেয়ে আনন্দ-বেদনার ’ উৎসব খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজানুর রহমানের কান্ড!  পত্নীতলায় থানা বিএনপি’র দ্বি বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত বাঘায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ! রাজশাহীতে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে লালপুরের এম আর হাইস্কুলের আনন্দ শোভাযাত্রা ও পান্তা ভাতে উল্লাস মোহনপুরে বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন  রাণীশংকৈলে  বিভিন্ন  আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত 

কৃষকের কাছে হার মানছে মাঘের শীত

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আলিফ হোসেন,তানোর………………………………………………

রাজশাহীর তানোরে পৌষের শেষ দিক থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। মাঘের শুরু থেকেও ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে প্রায় জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত যে তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকেরা কাদা মাঠে নেমে ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে  হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে কাদা মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন হার মানে। তানোর পৌরসভার গোল্লাপাড়া ও গোকুল বিলকুমারী বিলের মাঠে  দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন।

কৃষক আব্দুর রশিদ  বলেন, শীতের ভয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। তারা এই সময়ে বসে থাকলে তাদের পরিবারের মানুষদের পেটে ভাত জুটবে কী ভাবে।  কৃষক মোজাহার আলী বলেন, আমরা কৃষকেরা  বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কী ?  গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে  উপজেলার মালার মোড়ে মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন আব্দুল ও শরিফুল নামের দুই কৃষক।

তারা বলেন, পৌষের শেষ দিক থেকে শীত ও কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে,  বিকেল থেকেই ঘন কুয়াশা পড়া শুরু হয়। রাতেও টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে কদিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধানখেত। আর তার পরেই সোনার ফসলে শুরু হবে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।

এবিষয়ে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ  জানান, চলতি  মৌসুমে বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার,প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট