1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রূপসায় কালী মন্দিরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ বাঘা প্রেসক্লাবে দেশ-জনকল্যাণে কার্যকর ভুমিকা নিয়ে মত বিনিময় গোদাগাড়ীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরায় ৭ জেলেকে জরিমানা করলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)  বাঘায় দুই গ্রামে দুই গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু! ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফ এর ৩১দফা লিফলেট বিতরণ ও পথসভা পঞ্চগড় বাজারে অনৈতিকভাবে দোকান লীজ দেওয়া কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দূর্গাপুরে বিনামূল্যে ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত  রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ৫ম খেলা অনুষ্ঠিত দৌলতপুর মহেশ্বরপাশায় এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে ডাস্টবিন অপসারণের মানববন্ধন রেলওয়ে পশ্চিম আরএনবি দপ্তরে অপরাধ দমন সভা

কৃষকের কাছে হার মানছে মাঘের শীত

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৪১৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আলিফ হোসেন,তানোর………………………………………………

রাজশাহীর তানোরে পৌষের শেষ দিক থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। মাঘের শুরু থেকেও ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে প্রায় জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত যে তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকেরা কাদা মাঠে নেমে ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে  হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে কাদা মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন হার মানে। তানোর পৌরসভার গোল্লাপাড়া ও গোকুল বিলকুমারী বিলের মাঠে  দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন।

কৃষক আব্দুর রশিদ  বলেন, শীতের ভয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। তারা এই সময়ে বসে থাকলে তাদের পরিবারের মানুষদের পেটে ভাত জুটবে কী ভাবে।  কৃষক মোজাহার আলী বলেন, আমরা কৃষকেরা  বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কী ?  গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে  উপজেলার মালার মোড়ে মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন আব্দুল ও শরিফুল নামের দুই কৃষক।

তারা বলেন, পৌষের শেষ দিক থেকে শীত ও কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে,  বিকেল থেকেই ঘন কুয়াশা পড়া শুরু হয়। রাতেও টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে কদিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধানখেত। আর তার পরেই সোনার ফসলে শুরু হবে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।

এবিষয়ে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ  জানান, চলতি  মৌসুমে বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার,প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট