কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার ইবি থানার উজানগ্রামে সামাজিক আধিপত্ত্য কেন্দ্র করে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (০১ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের উজানগ্রামে হালিম,ছলিম,মোস্ত,বাক্কা,সাইফুল সর্দ্দার, মিল্টন,ইয়ার আলী,চয়েন মন্ডল, জামাল, এবং নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মিল্টন সেখ জানান, বুধবার ভোরে পার্শ্ববর্তি ঝাউদিয়া ইউনিয়নের কয়েক-শ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উজানগ্রাম প্রবেশ করে। নিজাম উদ্দন জানান, আমার দুইটি পিক-আপ গাড়ি আমার বসত বাড়ির পার্শ্বে ছিল গাড়ি ২টি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে যায আনুমানিক ক্ষতি প্রাই দু-লক্ষ টাকা।
শরিফুল সর্দ্দার জানান, আওয়ামীলীগ দোসর গ্রাম অস্থিতিশীল করতে আতা-হানিফের আস্তা ভাজন, বদরুল আলম আন্টু, আক্কাচ, হাসমতসহ তার দলবল অন্য গ্রাম থেকে লোকজন ভাড়া করে এই গ্রামে মাডার করার চেষ্টা করছে। প্রায় অর্ধশত বাড়িতে হামলা ও মালামাল ভাঙচুর করে। সেই সাথে ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র, নিয়ে যায়।
তিনি জানান, গ্রাম্য দলাদলি থাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রতিপক্ষ আওয়ামী আতা- হানিফের , দোসর বদরুল আলম আন্টু, ওয়ার্ড আওযামীলীগে সভাপতি আক্কাচ আলী, হাসমত,হিসাব,এর নেতৃত্বে ১০০ থেকে ১৫০ জন এসে এ হামলা চালায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সমাজের ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সামাজিক শক্তির লড়ায়ে এই ধরনে ঘটনা ঘটেছ।
তবে সরোজমিন ঘুরে জানাযায়, উজানগ্রাম মাঠে ফুটবল খেলা,দোকান কেনা-বেচা, সামাজিক দল ভাঙ্গা-ভাঙ্গি,এবং সামাজিক ভাবে সম্মনের ক্ষুন্ন হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষরা জানান সামাজি বিরোধ রয়েছে। এ কারণে হামলার বিষয়টি আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। এ হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নেই।’
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।#