পঞ্চগড় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে চলমান কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর প্রভাব পড়েছে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে এ বন্দরে পাথরসহ সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কর্মবিরতির ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে এ চারদেশীয় (বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান) গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। শূন্য চেয়ার নিয়ে ফাঁকা পড়ে আছে কাস্টমস অফিস।
তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক, ফলে যাত্রী পারাপারে তেমন বাধা ছিল না। শনিবার ভুটান থেকে আমদানি হওয়া ১৪৮টি পাথর বোঝাই ট্রাক কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে আটকে পড়ে আছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী, দুই দেশের ট্রাক চালক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিন আগেই ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। সেই সমস্যা কাটতে না কাটতেই এবার বাংলাদেশে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কর্মবিরতির কারণে নতুন করে বিপাকে পড়েছেন তারা। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা লাগছে, তেমনি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।
বাংলাবান্ধা সিএন্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,ভারতের আন্দোলনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই কাস্টমসের কর্মবিরতিতে দুইদিন ধরে বন্দরে কোনো পণ্য খালাস হচ্ছে না। এতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে রয়েছি।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার ইসাহাক বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। তবে সকল কর্মকর্তা অফিসে উপস্থিত রয়েছেন।” সরকারের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, “রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো আমদানি-রফতানি হয়নি। গতকাল ১৪৮টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেগুলোর ক্লিয়ারেন্স হয়নি। আমরা শুনেছি, আজ বিকেলের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আশা করছি, সোমবার (৩০ জুন) থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি চার দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) বাণিজ্যিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এ ধরনের অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে পুরো অঞ্চলের বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।#