# জামান আহম্মেদ………………………………………………
ইউক্রেন- রাশিয়া কিংবা ফিলিস্তিনী- ইসরাইল যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে এটা সত্যি কথা। যে সমস্ত খাবার জাতীয় পণ্য রয়েছে, যেগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো সেব সব পণ্যের উপর প্রভাব পড়েছে দারুনভাবে।শুধু খাদ্য সামগ্রী নয় প্রায় সকল আমদানিকৃত পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পয়েছে। কিন্তু দেশীয় পণ্য যে গুলো দেশের মাটিতে উৎপাদিত হয় এবং সেগুলো তেমন রপ্তানীও হয়না, হলেও খুব কম সেগুলোর দাম অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধির কারণ কি? আর যদি এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়, স্বল্প আয়ে যাদের সংসার চলে, তারা কিভাবে বেঁচে থাকবে মানুষ হিসেবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়েছে, দেশ অনেকটা আগ্রসর হয়েছে, উন্নয়নে মধ্যমা দেশে পরিণত হয়েছে, দেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করে বিশ্বে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।এটা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার, মেট্রো রেল চালু হয়েছে, পাতাল রেলের সমীক্ষা চলছে, কর্ণফুলী ট্যানেল শিঘ্রই ওপেন হচ্ছে, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলছে এসব ভাবতে বেশ ভাল লাগছে। এক কথায় দেশ অনেকটা উন্নত দেশে রুপ নিতে যাচ্ছে। ২০৪১ সাল নাগাদ দেশ মধ্যমা দেশে পদার্পণ করবে।এতে করে ধনীরা আরো ধণী হবে, শিল্পপতিরা আরো শিল্প গড়ে তুলবে, তাহলে গরীবরা কি আরো গরীব হবে, নাকি এদেরও জীবন যাত্রার মানের পরিবর্তন আসবে, আসলে সেটা কিভাবে।
যাদের নুন আনতে পান্নাতা ফুরায় তাদের আবার কিসের স্বপ্ন।দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কয়েকগুণ বেড়েছে, স্বায়ত্বশাসিত, বোর্ড, কর্পোরেশন, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠানের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে, খাদ্য শস্যের দাম যতই বৃদ্ধি হোক না কেন তারা পেটপুরে খাচ্ছে, ছেলে-মেয়েদেরকে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে পারছে। বছরে তিনটি বোনাস, রিক্রেশন ভাতা , মেডিকেল ভাতা, বাড়ি ভাড়া অন্যান্য সবই পাচ্ছে। কিন্তু যারা, কৃষক, যারা দিনমজুর এবং যারা এর নীচে আছে তারা কি করে চলবে তা কি আমরা একবারও ভেবে দেখেছি, না দেখছি না, কিন্তু কেন?
যে চাল অনেকে খায় না, অনেকটা পচা, দুর্গন্ধ সে চালের দাম কেজি প্রতি ৫৫-৬০টাকা, গম ৬০টাকা কেজি, সোয়াবিন তেল ১৮০টাকা থেকে ২০০টাকা কেজি(খোলা), লবণ ৪২-৪৫টাকা, মুসরীর ডাল ১২০-১৪০টাকা। স রকার আলুর দাম ৩৬টাকা কেজি নির্ধারণ করলেও ৪৫-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে অথচ সরকার সিন্ডিকেট ভাংতে পারছে না, কারণ কি। জেলা সদরের সকল হাট-বাজারে সকল সবজির দাম আকাশচুম্বী। ভারতীয় পিয়াজ প্রায় ১০০টাকা কেজি, কাঁচা মরিচের দোকানের সামনে দাঁড়াতে ক্রেতারা ভয় পাচ্ছে।বর্তমানে কাঁচা মরিচ ২০০-২৫০টাকা, তবে খরা মওসুম হলে কিছুটা কমে ১২০-১৫০টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।বেগুন-৮০টাকা, পটল-৬০/৭০টাকা, শিম-২২০-১৪০টাকা কেজি, কচু-৮০/৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, লাল শাক-৪০/৫০টাকা কেজি। একথায় সকল সবজি কেজি প্রতি ৬০টাকার উপরে।তাহলে খেটে খাওয়া মানুষ যাদের একখন্ড জমি নেই, রাস্তা বা রেল লাইনের ধারে বস্তিতে যারা থাকে তাদের কি খেয়ে পরে বেঁচে থাকার কোন অধিকার আছে, নিশ্চয় আছে, তাহলে তারা টিকে থাকবে, যদি থাকে কিকরে।
অনেক সরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের অনেকেরই মজুরী বৃদ্ধি হয়নি।সকাল আটা থেকে বিকেল ৪টা পর্পন্ত কাজ করে মজুরী পাচ্ছে ৪০০-৪৫০টাকা। অথচ একজন শ্রমিক (অশিক্ষিত) মজুরী পায় ৬৫০-৭০০টাকা।
চাল, ডাল, গম, লবণ, আলু, ডিম, ডাব সহ কাঁচা সবজি বাংলার মাটিতে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। এগুলো বিদেশ থেকে আনতে হয় না, অথচ দাম অত্যাধিক। এজন্য সুষ্ঠু বাজার মনিটরিং এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেভে দিতে না পালে সোনার বাংলার মানুষকে সোনার দামে শাক সবজি খেতে হবে, এটা কারো কাম্য নয়। প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের সকলের আবেদন নিত্য প্রয়োজনীয় বিশেষ করে খাদ্য পণের উপর কড়া নজরদারি বাড়িয়ে দিন এবং যারা এ ধরণের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থা করুন।বাংলার মানুষ একটি সুখী সমৃদ্ধি
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা চায়।যে সোনার বাংলার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখতেন।আমাদের বিশ্বাস আজ যদি সত্যি বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতেন তবে আমাদেরকে এতটা সংকটে পড়তে হয়তো হতো বলো আমাদের অন্তরের বিশ্বাস। সরকারের কাছে আকুল আহবান নিম্ন আয়ের লোকদের দুর্গতির কথ বিবেচনা করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে যা যা করার দরকার তাই করুন। সাধারণ খেটে খাওয়া এবং অতি নিম্ন আয়ের মানুষের দাবি তাদের কথা বেশি করে ভাবুন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন, সংকট দূর করুন।আমরা বেশি কিছু চাই না, ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে চাই, আমাদের ডাল ভাতের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করুন।আমারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা চাই।#