স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদীর: ঈশ্বরদীতে গরীব দুঃস্তদের জন্য বরাদ্দকৃত টিসিবির কার্ড বণ্টন করা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রুপের বিএনপির নেতাকর্মী ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রমস্ত্র,লাঠিসোঠা ব্যবহারের সাথে ৪ রাউন্ড গুলিবর্ষনও করা হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত: ৮ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।গুলিবর্ষণের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের একজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও ঐএলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
ঈশ্বরদীর শহর থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার দুরের প্রত্যন্ত চরাচঞ্চলের লক্ষিকুন্ডা ইউনয়ন পরিষদ চত্বরে বুধবার সন্ধ্যাপূর্ব সময়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রæপের আহ্বায়ক বীরু মোল্লা, বীরু মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা, বিএনপি কর্মী মিলন বিশ্বাস,রাব্বি মোল্লা, জামায়াত কর্মী হাসান, মোঃ তোফায়েল, মোঃ আকরাম ও ফিরোজ ফকির।
লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী জিল্লুর রহমান জানান, আমরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা আলোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্ীকুন্ডা ইউনিয়নের ৯টি ওয়াডের গরীব মানুষের অনুকুলে বরাদ্দকৃত টিসিবির কার্ড সঠিকভাবে বন্টনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা ও জামায়াতের যুব সংগঠনের ইউনিয়ন সেক্রেটারী আকরাম আলীর মধ্যে কার্ড ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমানের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান করা হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিরু মোল্লা সমর্থিত বিএনপির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে জামায়াতের যুব সংগঠনের ইউনিয়ন সেক্রেটারী আকরাম আলীর বাড়ির দিকে রওনা হলে রাস্তায় তাদের আকরাম আলীর লোকজন বাধা দেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে গুলিবষর্ণের ঘটনা ঘটে। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি। গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রুপের লক্ষ্ীকুন্ডা ইউনিয়নস্থ বিএনপিনেতা বিরু মোল্লা বলেন, আকরাম আলী এতোদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এখন জামায়াতে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছেন। জামায়াতের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
একই বিষয়ে জামায়াতের যুব সংগঠনের ইউনিয়ন সেক্রেটারী আকরাম আলী বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা বলে অপমানজনক কথাবার্তা বলেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের টিসিবির কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমাদের আগেই কথাবার্তা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজও চলছিল। কিন্তু বুধবার বিএনপির এক নেতা বলেন, জামায়াত নেতাদের কথায় কাউকে কোনো কার্ড দেওয়া হবে না। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তারা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়েছে। এঘটনায় বিএনপি জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি াভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ জমা দেয়নি। #