# মোঃ কামাল হোসেন: যশোরের অভয়নগরে বহু বিয়ের হোতা শহিদুল ইসলামের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিচার প্রার্থী এক নারী।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে সাতক্ষীরা জেলার পাইকগাছা এলাকার আজিজ এর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪২)। যশোরের অভয়নগরসহ নড়াইল এলাকায় একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ফুসলিয়ে বিয়ে করে বিভিন্ন ভাবে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নারীদের সাথে প্রতারণা করে। ফলে ভুক্তভোগী নারীরা পড়ে চরম বিপাকে। কেউ লোক লজ্জার ভয়ে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কথাও বলার সাহস করেনা। আর যদি কেউ সাহস করে বিচার প্রার্থী হলে সেই নারীকে হত্যা করার হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে ওই ভন্ড প্রতারক শহিদুল ইসলাম।
তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে, ওই প্রতারক একজন মাওলানা, তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষাকতা করে। বর্তমানে সে নড়াইল সদর উপজেলার জঙ্গল গ্রামে পূর্বপাড়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে চাকরি করছে। লেবাসধারী ওই শহিদুলের অপকর্মের কোন শেষ নেই।
এমনি এক ভুক্তভোগী অভয়নগর উপজেলার কোদলা গ্রামের কাদের খানের মেয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, আমার দুইটা ছেলে মেয়ে থাকার পর ওই ভন্ড প্রতারক বহু বিয়ের হোতা শহিদুলের সাথে পরিচয় হয়, পরে আমার সাথে কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে আমাকে ২০২০ সালে বিয়ে করে। বিয়ের পরে আমার থেকে কৌশলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে আমি জানতে পারি ভন্ড ও প্রতারক শহিদুলের আমি ৭ নং স্ত্রী। জানার পর খোঁজ নিয়ে দেখি লেবাসের আড়ালে ওই প্রতারক বিভিন্ন ভাবে আমার মতো অনেক নারীর সর্বনাশ করেছে। তাই আমি তার কঠিন শাস্তি কামনা করছি।
তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে নড়াইল জঙ্গল গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত করেন আমাদের জানামতে ওই হুজুর ৮/৯ টি বিয়ে করেছে। আর কিছু জানিনা।
এবিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলার জঙ্গল গ্রামের পূর্বপাড়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে সব অভিযোগ আমার উপর দেওয়া হচ্ছে আমি কোনকিছুর সাথে জড়িত নই।
নড়াইল সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#