
মোঃ মিজানুর রহমান খুলনা প্রতিনিধি: মাত্র ১৯ বছর বয়সে অসাধারণ এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা গ্রামের তরুণ মোঃ আমির হামজা। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজের শ্রম, মনোযোগ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আজ তিনি হয়ে উঠেছেন সফল অনলাইন উদ্যোক্তা। ফেসবুক থেকে তিনি এখন নিয়মিত আয় করছেন—যা অনেক তরুণের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি অনুরাগী। হাফেজ হওয়ার পর বর্তমানে তিনি খুলনার দৌলতপুর আলিম মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন এবং পাশাপাশি একটি কওমি মাদ্রাসায় কাফিয়া জামাতে অধ্যয়ন করছেন। দুই ধারার শিক্ষা একসাথে চালিয়েও তিনি থামেননি। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। ফেসবুকে কাজ শুরু করার পর অনেকেই তাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে। কেউ বলেছে—“এগুলো করে কিছু হবে না”, কেউ আবার অশ্রদ্ধার চোখে দেখেছে। এমনকি কাছের মানুষের কাছ থেকেও কটূক্তি শুনতে হয়েছে অসংখ্যবার।
কিন্তু আমির হামজা হাল ছাড়েননি। সময়কে সঙ্গী করে, ধৈর্যকে পাথেয় করে তিনি সামনে এগিয়ে গেছেন। দিন-রাত পরিশ্রম, নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি, শেখার প্রবল আগ্রহ আর আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস তাকে আজ সাফল্যের দরজায় পৌঁছে দিয়েছে। এখন তিনি নিজ দক্ষতায় ফেসবুক মনিটাইজেশন থেকে আয় করছেন, যা তার ও তার পরিবারের জন্য গর্বের বিষয়।
আজ যেসব মানুষ তাকে সন্দেহের চোখে দেখতেন, কটূক্তি করতেন—তারাই এখন সম্মানের সঙ্গে বলেন, “আমির হামজা সত্যিই পেরেছে। নিজের চেষ্টায় সফলতা পাওয়া যায়।” তরুণদের উদ্দেশ্যে আমির হামজার বার্তা— “কেউ আপনাকে তুচ্ছ করলে হতাশ হবেন না। পরিশ্রম, নিয়ম, দোয়া আর ধৈর্য—এগুলো থাকলে আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই সফল করবেন।” খুলনার এই তরুণের সাফল্যের গল্প আজ এলাকার মানুষের মুখে মুখে। ধর্মীয় শিক্ষার আলো ও ডিজিটাল জগতে সাফল্যের উজ্জ্বল মিলন—এ যেন নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।#