নিজস্ব প্রতিবেদক………………………………..
রাজশাহী স্টেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জীবন সরকারের বিরুদ্ধে ২২ লাখ টাকার ক্লিনিং পণ্য ব্যয়ের হিসাবে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী রেলওয়ের অডিট দপ্তর স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের দপ্তরে অভিযান চালায়। এ সময় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ক্লিনিং পণ্য ব্যয়ের রেজিস্টার খাতা পর্যন্ত অডিট দপ্তরের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন করতে পারেননি।
অডিট দপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, গত বছরের ২০ জুলাই মাসে হারপিক, ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার সহ রেলওয়ে স্টেশন পরিচ্ছন্নতার জন্য ২২ লাখ টাকার ক্লিনিং পণ্য ক্রয় করা হয়। পরে সেগুলো সেনেটারি ইন্সপেক্টর জুয়েলকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জুয়েল সরকারের অধীনে ৩৮ জন ক্লিনার কাজ করেন। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এসব ক্লিনারদের ডিউটির সময় ঠিক করে দেন। পাশাপাশি কোন ক্লিনারকে পরিছন্নতার জন্য কী পরিমান ক্লিনিং পণ্য দেওয়া হচ্ছে তাও রেজিস্টার খাতার মাধ্যমে নথিবদ্ধ করে রাখার নিয়ম রয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অডিট শাখা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের দপ্তর পরিদর্শনে আসলে ক্লিনিং পণ্য ব্যয়ের কোন হিসাব দেখাতে পারেননি জুয়েল। দেখাতে পারেননি ক্লিনারদের ডিউটির রেজিস্টার খাতাও।
রাজশাহী রেলওয়ের হিসাব কর্মকর্তা কাম পরিদর্শক ইসরাক কামাল জানান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ২২ লাখ টাকার ক্লিনিং পণ্য খরচ বা ব্যয় করলেও তা কোথায় কিভাবে খরচ করেছেন তা বলছেন না। রেজিস্টার খাতাতেও তা উল্লেখ নেই। সেই সাথে তিনি ক্লিনারদের কার কখন ডিউটি সেই খাতাও অডিট কর্মকর্তাকে প্রদর্শন করতে পারেননি। তাকে রেজিস্টার খাতা নিয়ে আনতে বলা হলেও তিনি খাতাটি নিয়ে আসছেন না। অডিট শেষে জীবনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রাজশাহী স্টেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জীবন সরকারের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।#