সুমন হোসেন, রাজশাহী……………………………………..
রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার এসআই প্লাবনের বিরুদ্ধে দুইজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা দাবি’র অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসআই প্লাবন দুই ব্যক্তিকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত অর্থ না দিলে হেরোইন মামলায় হুমকি দেন তিনি। পরে অবশ্য ৮ হাজার টাকা নিয়ে হেরোইন মামলা না দিয়ে ২০ লিটার চোলাই মদের মামলা দেন। আটককারী ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেন তিনি।
জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৬.২০মিনিটে চন্দ্রিমা থানা এলাকার মুরশোইল স্কুলের পার্শে রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে জয় ও শরিফুল নামের ২ জন যুবক বাচ্চুর মোড়ের দিকে আসছিল। পরে সেখানে ডিউটিরত পুলিশ সন্দেহ করে মোটর সাইকেলের গতিরোধ করেন এসআই প্লাবন। আটককৃতরা হলেন, চন্দ্রিমা থানাধীন মুশরইল বাচ্চুর মোড় এলাকার শরিফের ছেলে জয় (২২) ও একই এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে শরিফুল (২৩)।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, আটকের পরে তারা ফোন করে জানালে আমরা থানায় যায়। এ সময় আমাদের কাছে এসআই প্লাবন ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বলেন ওরা তো মদ পান করেছে। এখন হেরোইন মামলা দেওয়া হবে। ৫০ হাজার টাকা দিলে হেরোইন মামলা না দিয়ে ছেড়ে দিবো। ভয়ে ভীতু হয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী টাকা ম্যানেজ করতে শুরু করেন। পরে তারা মাত্র ৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে পারেন। এটাতেই এস আই ক্ষিপ্ত হয়ে, ঐ টাকায় শুধু তাদের সাথে থাকা মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দেন। এরপর আটক দুইজনকে ২০ লিটার চোলাই মদের মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তাদের পরিবার।
এদিকে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গাড়ির কাগজপত্র ও অবৈধ মালামাল দেখার নাম করে প্রতিনিয়ত পকেট ভারি করছে এই এসআই। ডিউটিরত না থেকেও সিভিলে থাকা অবস্থায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও আটক বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এলাকার গাড়ির মালিক ও চালকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এসআই প্লাবন কুমার সাহার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছে থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে, টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক না। আপনি হ্যাপি আপার সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কিছুই জানি না। আপনি থানায় আসেন, ঘটনা যদি সত্য হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।#