মমিনুল ইসলাম মুন…………………………………………………….
রাজশাহীর তানোরের সরকারী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) অহেদুজ্জামান ও শ্রমিক সর্দার এমরান হোসেন ভুট্টর মাঝে চরম মতবিরোধের অভিযোগ উঠেছে। এতে গুদামের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাহত ও সেবা প্রার্থীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, গুদাম কেন্দ্রিক একটি সিন্ডিকেট চক্র কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে টিআর-কাবিখা, ওএমএস এবং জিআরসহ নানা প্রকল্পের বরাদের চাল কিনে গুদামে রেখে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছে বিক্রি করে। আবার মিলাররা এসব চাল সরবরাহ দেখায়। এভাবে একই খাদ্যশস্য কয়েক দফা হাতবদল, মোটা ধান-চাল দিয়ে চিকন ধান-চাল বের করে নেয়াসহ নানা অনিয়ম করে আসছে। কিন্ত্ত শ্রমিক সর্দার ভুট্টু সিন্ডিকেট চক্রের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে সহযোগীতা না করায় তারা তার ওপর নাখোশ। চক্রটি শ্রমিক সর্দার ভুট্টুকে সরিয়ে তাদের অনুগত বিএনপি মতাদর্শী ব্যক্তিকে শ্রমিক সর্দার করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে।
সুত্রের ভাষ্য, সিন্ডিকেট চক্রের কাছে থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে গুদাম কর্মকর্তা নিজেই এখন শ্রমিক সর্দার ভুট্টুর বিরোধীতা করে ঠিকাদারের কাছে নালিশ করেছে। এদিকে এঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে এসেছে, গুদাম কর্মকর্তার ভাষ্য শ্রমিক সর্দার অকারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ও গুদামের অনেক গোপণ তথ্য বাইরে পাচার করে। এসব কারণে তাকে শ্রমিক সর্দার না করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
ওদিকে শ্রমিক সর্দার ভুট্টুর ভাষ্য, গুদাম কেন্দ্রিক একটি সিন্ডিকেট চক্রের নানা অনিয়মে সহযোগীতা না করায় তারা তাকে শ্রমিক সর্দারের পদ থেকে সরিয়ে দিতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। তিনি বলেন, সকল শ্রমিক তার পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে শ্রমিকেরা ভুট্টুকে শ্রমিক সর্দার রাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#