মমিনুল ইসলাম মুন……………………………………………….
রাজশাহীর তানোরে আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষ ভোগদলীয় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) ধঞ্জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউপির ২১ নম্বর ধনন্জয়পুর মোজায়, আরএস ২৫ নম্বর খতিয়ানে ৪৫ নম্বর আরএস দাগে ৫০ শতক জমি রয়েছে। বিগত ২০২১ সালে ধনন্জয়পুর গ্রামের লুৎফর রহমান এসব জমি তার পুত্র শামিমকে দানপত্র দলিল করে দিয়েছেন। কিন্তু একই গ্রামের মজিবুর রহমান ও তার পুত্র আতাউর রহমান বহিরাগত ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে এসব জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিকে চলতি বছরের জুলাই মাসে এসব জমি রক্ষার জন্য বিউটি বেগম আদালতে ১৪৪ ধারা আবেদন করলে আদালত আবেদন আমলে নিয়ে ১৪৪ ধারা জারি এবং বাস্তবায়ন করতে তানোর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন যা গত ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত বলবাদ ছিল। তবে দরখাস্তকারী পুনরায় ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করলে আদালত আবারো আগামি দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা বলবদ করেন এবং তা বাস্তবায়নে ওসিকে যাবতীয় ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে এ খবর জানতে পেরে বিবাদী ভুমিগ্রাসী আতাউর বহিরাগত ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে আম গাছ রোপণ করেছে। এবিষয়ে জমির মালিক বিউটি বেগম জানান, তার শ্বশুর লুৎফর রহমানের নিকট আপন ভাই মজিবুর ৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। এই জমিসহ তার শ্বশুরের মোট এক একর ২৯ শতাংশ ০৮ পয়েন্ট জমি দান করেন তার স্বামী শামিমের নামে। ওই সব জমি শান্তি পূর্নভাবে দখল ভোগ করে আসছি।তার স্বামীর নামে জমির খাজনা খারিজ চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী আতাউর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার হিস্যার জমি তিনি দখলে নিতে চাইছেন। এবিষয়ে থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, আদালতের নির্দেশ মানতে সবাইকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।#