1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

রাজশাহীতে এমপি বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ কুশপুত্তলিকা দাহ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নাজিম হাসান…………………………………………

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এ বিক্ষোভ থেকে এমপি বাদশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

 

আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এমপি বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। পরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের পেছনে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

 

এ সময় শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় এমপি ফজলে হোসেন বাদশার বেসামাল ও অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ নয় দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এর আগে শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে বিএমএ, স্বাচিপ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন ফজলে হোসেন বাদশা। সেখানে তিনি বক্তব্যও দেন। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

 

দাবিগুলোর হলো ১. শাহরিয়ারের মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের ওপর নৃশংস হামলা হত্যাচেষ্টা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং আনসারদের অতিদ্রæত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের প্রত্যেককেই তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. রামেকের পরিচালকের অসংলগ্ন আচরণ ও প্রত্যক্ষ মদদে বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই পরিচালকের অপসারণ করতে হবে। ৩. রামেকের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহূর্তে কর্মালিটিজের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে। ৪. রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ডাক্তারদের দোষ ওয়ার্ড বয়দের ওপর, ওয়ার্ড বয়দের দোষ ডাক্তারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি আর চলবে না।

 

৫. এমপি বাদশার বেশামাল, অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ৬. ইন্টার্ন ডাক্তারদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অভিযোগ জানাতে গেলে অভিভাবকদের ওপর অস্ত্রোপাচার সামগ্রী দিয়ে আক্রমণের বদোভ্যাস পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি মানবিক ও আন্তরিক হতে হবে। ৭. জরুরি বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারদের দাযত্বি চলাকালীন নার্স/ওয়ার্ডবয় দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানো চলবে না। ৮. আইসিইউ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সিগনেচারের নামে টালবাহানা করে যে কালক্ষেপণ করা হলো তা দ্বিতীয় কারও সঙ্গে করা হবে না এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। ৯. অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে হবে। রামেকের ডাক্তার-নার্সরা মনগড়া, বানোয়াট, কাল্পনিক, অসত্য যে ঘটনা সাজিয়েছে তার চিত্র প্রকাশ করে সবাইকে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানার সুযোগ করে দিতে হবে।

 

এদিকে, একই সময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। এ সময় তারা হাসপাতালে ভাঙচুর ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধরে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের গ্রেপ্তার, হাসপাতালে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত ও নিহত রাবি ছাত্র শাহরিয়ারের মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনের দাবি জানান তারা।

 

এ সব দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেয় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে আলোচনায় বসে। শেষে প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কাজে যোগ দেন ইন্টার্নরা। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেন।

অপরদিকে,রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পৃথক দুইটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে রাজপাড়া থানায় মামলা দুইটি রেকর্ড করা হয়। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন,দুই পক্ষের অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট