মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর ………………………………………
নাটোরের লালপুর উপজেলায় অবস্থানরত লালপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষকের সাথে মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক ও আপত্তিকর অবস্থায় মেলামেশা করার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় মেয়ের বাবার বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর২২)সকাল ১০টার দিকে মেয়ের বাবা এ ঘটনা ঘটায়।
সূত্রে জানা গেছে,লালপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বিপ্লবের সাথে তার মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক থাকায় গত রবিবার(৯ অক্টোবর-২২)সকালে মালপাড়া গ্রামে ঐ মেয়ের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে এলাকাবাসী হাতে নাতে বিপ্লবকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেন। পরে মেয়ের বাবা এই অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়ের উপর অভিমান করে বিষ পান করে আত্নহত্যার চেষ্টা করে পরে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মেয়ের বাবা শ্রী গোপাল প্রামাণিক(৫০)লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, কলেজ শিক্ষক বিপ্লব আলী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ের বয়সী লালপুর গার্লস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী শ্যামলী রানীর সাথে অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিভিন্ন সময় নিজের মর্জি মত ডেকে অবৈধভাবে মেলামেশা করতো । অবৈধ মেলামেশায় রাজি না হলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও প্রলোভন দেখিয়ে মেলামেশা করতো। শিক্ষক কেলেঙ্কারির এসব ঘটনা দুঃখজনক উল্লেখ করে লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, শুনেছি লালপুর ডিগ্রী কলেজের বিপ্লব নামে এক শিক্ষকের সাথে তারই এক ছাত্রী আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে। এর আগেও ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীর সাথে অনৈতিক ভাবে মেলামেশা করত। বিষয়টি যদি সত্যিই হয় তবে এটা সমাজ সভ্যতার জন্য নৈতিক বিপর্যয়। সমাজকে তারা সুস্থ করবে, এর পরিবর্তিতে শিক্ষকরা এমন ঘটনা ঘটালে এ সমাজ যাবে কোথায়?
এ বিষয়ে লালপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মাজেদের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। আর অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।#