# বাগমারা, রাজশাহী প্রতিনিধি…………………………….
এক যুগ পরে বউ হারালেন মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জীবন। তার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের হাসনীপুর গ্রামে। এক যুগ আগে তাহেরপুর বাজারে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ প্রামানিক এর মেয়ে কলি প্রামানিকের সাথে। ওই সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই ছাত্রীর সাথে। পরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে জীবন। সে সময় ধর্মপাল্টিয়ে তার নাম রাখা হয় অন্তরা বেগম। নিজের নাম পরিবর্তন করলেও পিতা-মাতার নাম ঠিকানার পরিবর্তন হয়নি। তার পিতার বাসা তাহেরপুর পৌরসভায়।
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে ৫ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সে মেয়েকে নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন একটি পোস্টও দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান জীবন। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক নির্যাতন আর গালমন্দের শিকার হতে হয়েছে অন্তরাকে। অন্তরা পরামাণিক আরো অভিযোগ করেন জীবনে একজন মাদক সেবনকারী আর নানান অপকর্ম করে বেড়াতো জীবন। জীবনের সংসারে থেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে অন্তরা। স্বামীর নির্যাতন ও অবহেলা সইতে না পেরে গোপনে অন্য ছেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জীবন ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে শনিবার রাতে একই ইউনিয়নের কামারখালি গ্রামের আব্দুল জব্বার এর ছেলে সাহিদুল ইসলাম (24) সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এর আগেও তারা কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন বলে জানাগেছে। অশালীন কাজের সময় ধরা পড়ার পর জীবনের বাড়িতে থেকেই অন্তরা বেগম তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান জীবনকে তালাক করে। সেই সাথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়া সাহিদুল ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় অন্তরা বেগম। এমন ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, মোস্তাফিজুর রহমান জীবন সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে এলাকার নানান অপকর্ম করে বেড়ান বলেও জানান তারা।
এ ঘটনায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার বলেন, ছেলে-মেয়ে উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। তারা একে অপরকে বিয়ে করবে বলে সম্মত হয়। ছেলে-মেয়ের সম্মতিতেই রাতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তবে এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান জীবন বাড়িতে ছিলেন না।
এ ব্যাপারে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক জিলালুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি জীবনের স্ত্রী বাড়িতে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। সেই সাথে যে ছেলের সাথে ওই ঘটনা ঘটেছে তার সাথে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিয়েও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ কেউ করেনি ।#