1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ’র গোমস্তাপুরে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার সাংবাদিক সবুজ চারার নীচে ঊঁকি দিচ্ছে বড় বড় দানার পেঁয়াজ, লাভের স্বপ্ন কৃষকের, স্বস্তির আশা দামে জবাবদিহিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা হবেঃ বাঘায় বিএনপি নেতা চাঁদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এ বিএনপি’র প্রার্থী  লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন আশরাফ হোসেন আলিম এর পক্ষে  নেতাকর্মীরা তানোরের মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির কর্মীসভা ও সেন্টার কমিটি গঠন সারিয়াকান্দিতে নবাগত ইউএনও’র সাথে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় নবীন চারুশিল্পীদের নিয়ে ভাইভা পরীক্ষা আয়োজন করে খুলনা আর্ট একাডেমি সারিয়াকান্দিতে আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন রাজশাহীতে জেলা পুলিশের হাতে উদ্ধারকৃত ৬০ মোবাইল প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন জামায়াতের এমপি প্রার্থীর 

সবুজ চারার নীচে ঊঁকি দিচ্ছে বড় বড় দানার পেঁয়াজ, লাভের স্বপ্ন কৃষকের, স্বস্তির আশা দামে

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ছবি সংযুক্ত দামে ক্রেতারা স্বস্তি পেলেও খরচের তুলনায় বাজার মূল্যে কম থাকায় গত বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। এবার বীজের দাম কম থাকায় গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবাদও বেশি হয়েছে ,বাজার মূল্যেও ভালো আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজ বাজারজাত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা ।

কৃষকরা বলছেন, গত বছর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি কারণে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। এবার বাজার দর ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখবেন তারা। তবে গত বছরের মতো যদি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি হয় তাহলে বাজারে দাম কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কাঙ্খিত লাভের আশা থুবড়ে পড়তে পারে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি হলে দাম আরো কমবে বলে আশা তাদের।

বর্তমান বাজারে পাইকারি দামে ১ মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ থেকে ৩৬০০শ টাকা দরে। যা খুচরা বাজারে ১ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। গতবছর ১মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮০০ থেকে ১২০০শ টাকা দরে। যার খুচরা বজারে ১ কেজির দাম ছিল ২০ থেকে ৩০টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এবছর লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। বেশি চাষ হয়েছে পদ্মার চরঞ্চলে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৮০০ হেক্টর জমিতে। এবার ১৯০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে- ৩৬হাজার ১০০ মেঃটন।

বৃহসপতিবার(২৭-১১-২০২৫) সরেজমিন রোপন করা পেঁয়াজের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ চারার নীচে ঊঁকি দিচ্ছে বড় বড় দানার পেঁয়াজ। আর কয়েক দিনের মধ্যে মাঠ থেকে বাজারে আসবে এই পেঁয়াজ। দামে ও ফলনে কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। চারা পেঁয়াজের তুলনায় কম খরচে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে ফলনও বেশি হয়। সেই স্বপ্ন পূরণে রোপন করা পেঁয়াজের পরিচর্যা সহ এখনো পেঁয়াজ রোপন করছেন কৃষকরা।

উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের চাষী শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, লিজ নেওয়া ৬বিঘাসহ ২৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন ১৫-২০হাজার টাকায়। ১বিঘা জমিতে বীজ লেগেছে ৮/১০মণ। প্রতিমণ বীজ কিনতে হয়েছে ২২০০শ টাকা দরে। চাষ,বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ বিভিন্নখাতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি উৎপাদন আশা করছেন ৭০/৯০ মণ ।

শফিকুল জানান, গতবছর প্রতিমণ পেঁয়াজ বীজ কিনতে হয়েছিল, ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। চাষ, বীজ, সার ও শ্রমিকসহ অন্যান্য মিলে খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ টাকার বেশি। ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে বাজার দরও ভালো ছিলনা। প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন কম হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৪০ থেকে ৬০ মণ। প্রতি বিঘা জমির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। গড় হিসেবে বিঘা প্রতি লোকসান হয়েছিল প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। বাজার দর ভালো থাকলে এবার গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। ওই গ্রামের ফজলুল হক এবার ৩০বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন ।

পদ্মার চরাঞ্চলের পলাশিফতেপুর গ্রামের আশাদুজ্জামান বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১০০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারবো। ভালো দাম পেলে লাভ হবে বলে আশা তার। চরের পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হয়। একই সুরে কথা বললেন খানপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম। তিনি জানান,কম খরচে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আবাদে উৎপাদন ভালো হয়। গত বছরের আগের বছর ৭বিঘা জমিতে আবাদ করে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হয়েছিলেন। ১ বিঘা জমিতে তার পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ৭৪ মণ। গত বছর বর্ষনের কারণে ফলন কম হয়েছে। খরচের তুলনায় বাজার দর ভালো ছিলনা বলে লোকসান হয়েছে। এবারও ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন।

পেঁয়াজের ক্ষেত দেখতে এসেছিলেন ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকার ব্যবসায়ী সামসুর রহমান। রোববার কলিগ্রাম মাঠে কথা হলে তিনি বলেন,গত বছর দেশে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয়েছিল। এতে কৃষকরা ভালো দাম পাননি। এবার দেশেই ব্যাপক পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। যা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব। আর যদি গত বছরের মতো ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি করা হয় তাহলে ক্রেতারা লাভবান হলেও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন,আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। চারা পেঁয়াজের তুলনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলনও বেশি হয়। তুলনামূলক খরচও কম। রোপনের পর থেকে ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলে বাজারজাত করা যায় । গত বছরের চেয়ে এবার ১০০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন ধরা হয়েছে ১৯ মেঃটন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার উপজেলায় কৃষকরা এখনো পেঁয়াজ রোপন করছেন বলেও জানান । স্থীতিশীল বাজার মুল্যে কৃষকরা লাভবান হবেন। #

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট