1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে  শিক্ষার্থী নির্যাতন মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ১ সদস্য গ্রেপ্তার

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ……………………………

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ইট-ভাটার মধ্যে পাষবিক নির্যাতন ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করার ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ১ নং আসামী ও গোদাগাড়ী মডেল থানার তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট মেহেদী পলাশ (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার লস্করহাটি এলাকায় একটি ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

মামলার দুদিন পর শনিবার দুপুরে মাত্র একজন আসামীকে গ্রেপ্তর করতে পারলেও বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে চরম উদ্বিগ্নে দিন পার করছে নির্যাতনের শিকার হওয়া সামিউল আলমের পরিবার।

 

গত (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে সামিউল আলমকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে দু-দফায় নির্জন ইট-ভাটায় নির্যাতন করা হলে সেদিন রাতেই গোদাগাড়ী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার মা হালিমা বেগম।

 

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সামিউল আলমকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হলেও পুলিশ এসব কিশোর গ্যাংদের ধরতে গড়িমসি শুরু করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল উদ্দিন।

 

গত (৮ সেপ্টেম্বর) গোদাগাড়ী মডেল থানায় রাত সোয়া ৯ টার দিকে ৬ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম।

 

আসামীরা হলো উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার মেহেদী পলাশ (২২)। মহিশালবাড়ী আলীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ও গোদাগাড়ী আ.ফ.জি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার শিক্ষক, কিশোর গ্যাং লিডার রবিউল আওয়াল, মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি খাতুনের ছেলে শাহরিয়ার জয় (২৪) , গড়ের মাঠের মাদক সম্রাট আব্দুল মালেকের দুই ছেলে জাহিদ হোসেন (১৮) ও তারেক হাসান (২০) এবং লস্করহাটি এলাকার সাগর (২২)।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী পৌর এলাকাতেই রয়েছে ৫-৬ টি কিশোর গ্যাং। এদের মধ্যে আব্দুল আওয়াল ও মেহেদী পলাশের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের রয়েছে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী। আওয়াল, পলাশ, মেহেদী দাপটের সাথে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। আওয়াল জামায়াত পরিবারের সন্তান। তার বড় ভাই শামসুজ্জোহা বাবু বণিক সমিতির সভাপতি , স্কুলের শিক্ষক, একটি হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্বে থাকায় সেও আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে।

 

বাবু বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সাথে সু-সম্পর্ক আছে এমন প্রচারণা করে বিভিন্ন লুটে। স্থানীয়রা বলছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত তার ভাই আব্দুল আওয়াল মূলত বাবুর দাপটে এলাকায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার সাহস পাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ গোদাগাড়ীতে কিশোর গ্যংরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ নিরব ভূমিকা থাকায় এরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে জানান।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামালের কাছে জানতে চাওয়া হয় কি ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল ,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামান্য কিছু মারধর হয়েছে তেমন জটিল কিছু নয়।

 

অথচ নির্যাতনের শিকার হওয়া সামিউলরে পুরো শরীরে মারধরের কারনে রক্ত জমাট বাঁধা, কালশিরা পড়া, পায়ে ধারালো অন্ত্র্র দিয়ে আঘাতের ফলে গর্ত হয়ে রক্ত জমাট বাঁধা, পায়ের তালুতে কালিশিরার চিহৃ থাকা সহ নানান আলামত দেখা গেছে। এছাড়াও সামিউলের মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে অতিরিক্ত ব্যাথা হওয়ায় ও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসপি পরীক্ষা শুরু হবে এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সামিউল নিজেই। এই ঘটনায় গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য গোদাগাড়ী হাসপাতালের চিকিৎসকরা গত ৮ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে সামিউলকে।

 

সামিউলরের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ছেলেকে যে ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এমন ঘটনা যেনো গোদাগাড়ীতে আর না ঘঠে। এমন নির্যাতন মধ্যযুগীয় কায়দায় করা হয়েছে। এই নির্যাতনের সাথে জড়িতরা সবাই এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এরা সংঘবন্ধ হয়ে বহুদিন থেকে নানান অপকর্ম করে বেড়ায়।

 

এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও প্রথমে থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতো পারতো। তবে তা না করে পুলিশের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে । এই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে পুলিশ কিছুটা তৎপর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ।

 

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ঔ কামরুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর  আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যহত আছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার ১ নং আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের ধরেতে অভিযান অব্যহত আছে।  তাদের পেছনে সোর্স লাগানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই আসামীরা কেউ বাড়ীতে না থাকায় গ্রেপ্তার করতে কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট