# নাজিম হাসান……………………………
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। যৌতুকের জন্য প্রতিবেশী ও সন্তানদের সামনে মারধর করা হয় ওই গৃহবধূকে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকায়। নিহত ওই গৃহবধূর নাম সোনিয়া খাতুন। তিনি পবার কইরা গ্রামের হানিফের মেয়ে। আর অভিযুক্ত স্বামীর নাম নাসির উদ্দিন। তিনি পবা উপজেলার ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকার মুঞ্জিলের ছেলে।
গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত যৌতুকের জন্য গৃহবধূ মোসা: সোনিয়া খাতুন (১৮)কে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ নাসির উদ্দিন। বুধবার সকাল সোয়া ৯ টার দিকে তাদেও নাজমিন নামের ৪ বছরের এক মেয়ে সন্তানের সামনে ঝগড়া শুরু হয় যৌতুকের টাকা দাবি কেন্দ্র করে। এক পর্যায় স্বামী নাসির গৃহবধূ সোনিয়াকে ব্যাপক মারপিট করে ও গলা চেপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ি থেকে নাসিরসহ সবাই পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে ওই দম্পতির ৪ বছরের এক মাত্র মেয়ে মোসা: নাজমিন পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত জানান। নিহত গৃহবধূর চার বছরের মেয়ে নাজমিন জানায়, আব্বু আম্মুকে গলা টিপে মেরেছে। পরে আম্মুকে গলায় ওরনা পেচিয়ে ঘরের ফেনে ঝুলানোর চেস্টা করে। যখন পারেনি তখন ফেলে পালিয়ে যায় আব্বু। সোনিয়ার স্বজনদের দাবি, স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য প্রায় সোনিয়াকে নির্যাতন করতেন। বুধবার তাকে মারধরের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
এবিষয়ে পবা থানার (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, নিহত গৃহবধুর পিতার দাবি তার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করার পরে তাকে ফেনের সাথে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে যানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মামলা হলে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি ফরিদ হোসেন ।#