নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলমান পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে অফিসার্স সমিতি। তবে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি বহাল রেখেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় শাটডাউন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন।
মোক্তার হোসেন বলেন, গতকাল আমাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় বসেন।সেখানে আমাদের দাবির বিষয়ে তাঁরা কয়েকদিন সময় চেয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজ আমরা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সাথে মিটিংয়ে বসি, সেখানে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে প্রশাসনকে সাত দিনের সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এবং বুধবার বেলা ১ টা থেকে আমরা শাটডাউন প্রত্যাহার করেছি।
এদিকে,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেন সংগঠনটি।
এসময় মানববন্ধন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, তাদের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কয়েকটি গোষ্ঠীর শিক্ষক দলীয় ব্যানারের আড়ালে এসে রাকসু নির্বাচন ও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হাজারো শিক্ষার্থী থাকা সত্তে¡ও তারা দেখিয়েছে ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী নেই। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর মতো অপরাজনীতিতে তারা সফল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাকসু নির্বাচন পিছানোই তাদের আসল উদ্দেশ্য নয়, মূল লক্ষ্য হলো একে পুরোপুরি বানচাল করা। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮, তারপর ২৫ সেপ্টেম্বর হয়ে এখন ১৬ অক্টোবর এভাবে বারবার তারিখ বদলে তারা সময়ক্ষেপণ করছে। শেষে হয়তো ঘোষণা দেবে, এবছর রাকসু আর সম্ভব নয়। ৩৫ বছর পর নির্বাচন বানচালের এ প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ক্যাম্পাসের যে অচল অবস্থা তা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি দলের নির্দেশে নির্বাচনকে তিন তিনবার পেছানো হয়েছে। এ পরিকল্পনার অংশ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যে সিন্ডিকেট মিটিং বসেছে সেখানে বলেছে কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত মানে ১৬ তারিখের আগে কোটাকে সামনে নিয়ে এসে আবারো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বানচাল করবে তারা।
উল্লখ্যে, শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার এবং পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রোববার রাতে অফিসার্স সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেয়। তবে বুধবার চতুর্থ দিনের মতো তাদের কর্মসূচি চলমান ছিল।#