বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক । নেতা কর্মীদের নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নেন মানিক খান।
রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মানিক খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর নির্দেশনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। বিএনপির সবসময় মানুষের পাশে ছিল আগামীতেও থাকবে। তিনি বলেন,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন গণ মানুষের নেতা। তিনি গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে গেছেন। তার সহধর্মিনী বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গনতন্ত্র রক্ষায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্র হরণ করেছে। গণতন্ত্র রক্ষায়, তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। তাই ভেদাভেদ ভূলে দেশের স্বার্থে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
বুধবার(২০-০৮-২০২৫) দুপুরে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশী ফতেপুর, কালিদাসখালী ,আতারপাড়া,চৌমাদিয়া, দিয়াড়কাদিরপুর,লক্ষীনগর ও গড়গড়ি ইউনিয়নের- কড়ারি নওশারা, আশরাফপুর ও খানপুর নীচ পাড়া এলাকার দুইশর অধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়
। উপস্থিত ছিলেন,রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, পুঠিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুর রহমান সোহেল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নান্নু, বাঘা পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র রোকনুজ্জামান মিঠু, হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তালিব, ফারুক খান,সাবেক ছাত্র নেতা সাহাবাজ আলী, ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারি সদস্য রানুয়ারা খাতুনসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম- ও গড়গড়ি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামসহ মোট ৮ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ২ হাজার ৪০০পরিবার। বন্যায় ইউনিয়নটির প্রায় ১৭শ’ বিঘা জমির আবাদি ফসলসহ গোচরণভূমি ও রাস্তাঘাট বণ্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেড়ার অর্ধেক পানিতে ডুবে যায়। পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে, চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ এর চারপাশে ৫০টি পরিবার । উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলার প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, সরকারিভাবে মানবিক সহায়তার চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।#