মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনানুগ শাস্তি দাবি করেছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
এসময় তারা প্ল্যাকার্ডে লিখেন— “নিপীড়ক মুক্ত ক্যাম্পাস চাই”, “সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিষ্কার চাই”, “ছাত্রী নিপীড়ন করে আবার ক্লাসে আসে?”, “রুচির দুর্ভিক্ষ, জ্ঞান নয় ডাস্টবিন শিক্ষকতা” ইত্যাদি শ্লোগান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা খান বলেন, “আমরা আজ এখানে নিপীড়কের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে দাঁড়িয়েছি। আমাদের তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে যে তিনি অপরাধ করেছেন। তাই আর কোনো আশ্বাস নয়, আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্কের রাবি সভাপতি সালমান সাব্বির বলেন, “আমরা শুধু স্থায়ী বহিষ্কার নয়, প্রচলিত আইনে তার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।” এর আগে গত ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট মাস্টার্সের ওই শিক্ষার্থী ক্লাসের উপস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে প্রভাস কুমার কর্মকারের চেম্বারে গেলে তিনি কৌশলে অশোভন আচরণ ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রেজাউল করিম জানান, “অভিযোগের পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। কমিটির প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে তাকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা হয়েছে।” শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাময়িক বহিষ্কার কোনো সমাধান নয়। তারা দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।#