ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর একরামুল দৌলা উরফে সাহেব আালীর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কমিশনার হওয়ার আগে তিনি ছাগল চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন এবং মাথা ন্যাড়া করে পুরো রোড এলাকার অলিগলি প্রদক্ষিণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পরে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় এবং খানকাহ হুজুরের অগোচরে তিনি জাল টাকার মেশিন বসানো থেকে শুরু করে অসংখ্য অসহায় মানুষের জমি দখল ও জাল দলিল তৈরির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, একরামুল দৌলা ও তার সহযোগী ডিও মোস্তফা রেলের জমি দখল করে একাধিক বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করেছেন। একসময় পেটের দায়ে ছাগল চুরি করা এই ব্যক্তি বর্তমানে কোটি টাকার মালিক। সবচেয়ে নিন্দনীয় অভিযোগ হলো, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিনে আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্রকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার খুলে রেখে, দরজা আটকে বাইরে আগুন ধরিয়ে চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি ও তার সহযোগী মোস্তফা।
বহু হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি এখনো নিরাপদে খানকায় অবস্থান করছেন। স্থানীয়দের প্রশ্ন, টাকার কাছে প্রশাসন বিক্রি, নাকি রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে এই সন্ত্রাসী-ভূমিদস্যু এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে? সে গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে জুলাই যোদ্ধাসহ স্থানীয় সচেতন মহল।